বঙ্গদেশ ডেস্ক – ২০২০-২১ অর্থবছরে ভারতের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়েছে ১০১.৫ বিলিয়ান ডলার, এটি এখনও পর্যন্ত একক আর্থিক বছরে ফরেক্স রিজার্ভের সর্বোচ্চ বৃদ্ধি বলে ‘ইকোনমিক টাইমস’ তাদের রিপোর্টে উল্লেখ করেছে।
ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (আরবিআই)-এর সাপ্তাহিক পরিসংখ্যানের মূল্যায়ন অনুসারে, ২৬ শে মার্চ পর্যন্ত দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৫৭৯.৩ বিলিয়ন ডলার। জানুয়ারির শুরুতে এই মজুদ শীর্ষস্থানে পৌঁছায় এবং সর্বোচ্চ ৫৯০ বিলিয়ন ডলার রেকর্ড করে।
ব্লুমবার্গের রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়, ভারতের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ চীন ও জাপানের পর বিশ্বের তৃতীয় সর্বোচ্চ অবস্থানে রয়েছে। তাছাড়াও ‘ব্যাংক অফ আমেরিকা’ অনুমান করছে, আগামী আর্থিক বছরে আরবিআই আরও বেশি পরিমাণে আর্থিক সংস্থান জোগাড় করতে পারে। উক্ত আর্থিক সংস্থার মতে বাজেটে আর্থিক খাতে ঘাটতি জিডিপির ০.৫ শতাংশ।
সেই রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, ‘বার্কলে ক্যাপিটাল’ এর ভারত চ্যাপ্টারের চীফ অর্থনীতিবিদ রাহুল বাজোরিয়া আশা করছেন যে ২০২২ সালের মার্চের মধ্যে ভারতের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৬৪৫ বিলিয়ন ডলারের অধিক হতে পারে।
লক্ষ্যনীয় বিষয়, ১৯৯১ সালে পেমেন্ট সঙ্কটের ভারসাম্য বজায় রাখতে টাকা দেওয়ার পর আরবিআইকে তার প্রথম ১০০ বিলিয়ন ডলারের ‘ওয়ার চেস্ট’ তৈরি করতে ১২ বছর সময় লেগেছিল, সে সময়ে ভারতের কাছে কেবল ১৫ দিনের আমদানির মূল্য দেওয়ার মত ‘ফরেন কারেন্সি’ই মজুদ ছিল। সেই তুলনায় বর্তমানে, ভারতের ফরেক্স রিজার্ভ প্রয়োজনে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে আমদানির মূল্য প্রদান করতে পারে।
সম্প্রতি আরবিআইয়ের গভর্নর শাক্তিকান্ত দাস বলেন, “একটি অনিশ্চিত বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিবেশের সামনে, উন্নয়নশীল বাজারের অর্থনীতিগুলির অবস্থা সঙ্গীন। বিশ্বব্যাপী অনিশ্চয়তার মোকাবিলা করার জন্য, তাদের কাছে নিজস্ব বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভের বাফার তৈরি করা ছাড়া কোনও উপায় নেই।”