স্বল্প খরচে থ্রিডি, বাঙ্গালী গবেষকের হাত ধরে নয়া দিগন্ত স্টিরিওস্কোপিতে

বঙ্গদেশ ডেস্ক:ভবানীপুরের বাসিন্দা পেশায় সফটওয়্যার প্রোগ্রামার সন্দীপ চট্টোপাধ্যায়ের আবিষ্কারের নয়া দিশা খুলে দিয়েছে দুনিয়ার কাছে।স্বল্প খরচে যে কোনও ছবি কিংবা যে কোন সিনেমাকে থ্রিডিতে বদলে ফেলা যাবে যখন তখন। সন্দীপ চট্টোপাধ্যায়ের এই তত্ত্বের ভিত্তিতে অসম্ভব সম্ভব হয়েছে। ১৪ বছর গবেষণা চালানোর পর পেটেন্ট পেয়েছেন সন্দীপবাবু। তিনি প্রথম ভারতে স্টিরিওস্কোপির এই বিশেষ দিক নিয়ে পেটেন্ট পেয়েছেন।

সাধারণ মানুষ বিষয়টাকে কঠিন ভাবলেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এটি পদার্থবিদ্যার ক্ষেত্রে। ব্যবহার জানলে আপনিও অবাক হবেন। তবে শুধুমাত্র কি সিনেমা নাকি অন্যান্য ক্ষেত্রেও ব্যবহার করা যাবে কলকাতার এই গবেষক সন্ধীপ চট্টোপাধ্যায় এর তত্ত্ব? গবেষক জানিয়েছেন, এই তত্ত্ব শুধুমাত্র বিনোদন জগতেই নয় তার এই গবেষণা বৈজ্ঞানিক মহলেও প্রভাব ফেলবে একই সঙ্গে কাজে লাগবে প্রত্নতত্ত্ববিদ্যা, মহাকাশচর্চা, ভূ-বিদ্যার ক্ষেত্রেও। এককথায় সমুদ্র থেকে মহাশূন্য সব ধরনের গবেষণার কাজে ব্যবহার করা যাবে এই থিয়োরি।

এই থিওরী কেন আলাদা?

এতদিন ধরেস্টিরিওস্কোপি নিয়ে যে ধরনের আলোচনা হয়ে এসেছে বা যেভাবে স্টিরিওস্কোপির কাজ হয়ে এসেছে তা ব্যয়বহুল ছিল।উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেছেন, সিনেমা হলে যে ধরনের থ্রিডি চশমা ব্যবহার করা হয় তা খানিকটা ব্যয়বহুল। ওরকম চশমা ব্যবহার করে স্বল্প টাকায় তার তত্ত্ব ব্যবহার করে সিনেমাহলের থ্রিডি’ ছবির মজা নিতে পারবেন দর্শকরা। কিংবা কোনও গুরুত্বপূর্ণ নথিকেও স্বল্প খরচে পাল্টে দেওয়া যাবে। যে কাজ এতদিন বিদেশি প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রচুর টাকা খরচ করে ব্যবহার করা হত। থ্রিডি ছবি কিংবা সিনেমা করার জন্য গবেষক সন্দীপ চট্টোপাধ্যায়ের আবিষ্কৃত তত্ত্ব নিমেষে বদলে দিতে পারে ধারণা ।