মেঘালয়ে ফের আক্রান্ত হিন্দু : অজ্ঞাতনামা আততায়ী দ্বারা ছুরিকাহত ব্যবসায়ী চন্দন পাল

0
470

বঙ্গদেশ ডেস্ক: হিমালয়ের কোলঘেঁষে অবস্থিত মেঘালয়ে হিন্দুদের বিড়ম্বনার শেষ নেই। ওরাজ্যে হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের নানান ঘটনা প্রায়শই সংবাদ শিরোনামে উঠে আসে। গত বৃহস্পতিবার বিকেল ৪-৪:৩০ টার দিকে মেঘালয়ের রাজধানী শিলংয়ের লুমডিয়াংজরি এলাকায় প্রায় আটজন অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্ত উৎপাত করে বেশ কয়েকজনকে আহত করেছে। দুষ্কৃতীদের সকলেই মুখোশ পরে ছিল এবং তাদের তাণ্ডবে তিনজন গুরুতর আহত হয়েছে।

আহত তিনজনকে শিলংয়ের সিভিল হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। এদের মধ্যে একজন, চন্দন পাল (৫৫)।তার পরিবারের সদস্যদের দাবি অনুযায়ী তাকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে বলে অভিযোগ।

হাসপাতালের বাইরে অপেক্ষরত চন্দন পালের বোন রুমা পাল জানিয়েছেন, তাকে জানানো হয়েছিল তার ভাইকে তার দোকানের বাইরে ছুরি দিয়ে মারা হয়েছে।তিনি বলেন, যে তিনি যখন ঘটনাস্থলে পৌঁছান তখন পুলিশ ইতিমধ্যে সেখানে উপস্থিত ছিল এবং তার ভাইকে শিলং সিভিল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

রাজ্য সরকারকে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে রুমা আর্জি জানিয়েছেন, রাজ্যের স্থায়ী বাসিন্দাদের সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তদের এই ধরণের বারবার আক্রমণ বন্ধ করতে হবে।আহতদের মতে, দুর্বৃত্তরা পাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় আরো অনেকের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে।

যদিও এবিষয়ে পুলিশ এখনও পর্যন্ত মামলার সাথে জড়িত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি এবং কোন‌ও বিবৃতিও দেয়নি এবং পুলিশ সুপারকে ফোন করা হলে তিনি প্রত্যুত্তর দেননি।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০২০ সালের নভেম্বরে খাসিদের প্রবল আক্রোশের নিহত হয়েছিল হিন্দু গাড়িচালক নিখিল দে। সেই বছর ডিসেম্বরে বড়দিনে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল রামকৃষ্ণ মিশন। এছাড়াও, বেশ কয়েক বছর আগে শিলংয়ে ৬ জন বাঙ্গালী ছেলেকে ভলিবল কোর্টে রড দিয়ে মারধর করা হয়। শুধুমাত্র তাই-ই নয়, লোকডাউনে বাঙ্গালীদের রুজিরুটি বন্ধ করার জন্য ইচ্ছামতী মজাই অঞ্চলে বাঙ্গালী ব্যবসায়ীদের পাথর খাদানে কাজে বাধা দেওয়া হয়েছিল। এমনকি, HNLC বাঙ্গালীদের মেঘালয় ত্যাগ করার নোটিশ দেয়।