বিরোধিতা যে করতেই হবে! লাদাখে গিয়ে চীনের নাম না নেওয়ায় প্রশ্নের মুখে মোদী

বঙ্গদেশ ডেস্ক: সেনার মনোবল বাড়াতে শুক্রবার সাতসকালে আচমকা লাদাখ পরিদর্শনে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। গালওয়ানে আহত সেনাদের সাথে কথা বলেছেন, নিমুতে বক্তব্যও রেখেছেন। মোদীর এই মাস্টারস্ট্রোকের পরপরই নিজেদের মেজাজ বদলে সুর নরম করতে বাধ্য হয়েছে বেজিংও। সাধারণ মানুষও রাষ্ট্রনেতাকে সীমান্তে জওয়ানদের সাথে দেখে যারপরনাই উচ্ছসিত। কিন্তু এতেও সন্তুষ্ট নন বিরোধীরা।

গণতন্ত্রে বিরোধীদের অবশ্যই প্রয়োজন রয়েছে। রাজনীতিতে মত, বিরুদ্ধ মত থাকবেই। কিন্তু যদি সমালোচনা শুধুমাত্র বিরোধিতা করার জন্যই করা হয়ে থাকে, তা প্রভাব ফেলে গোটা দেশের ওপর। এমনই নিম্নমানের  বিরোধিতা করতে শুরু করল দেশের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস।

এদিন নিমুতে সেনাছাউনিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নাম না করেই চীনকে কড়া ভাষায় আক্রমন করেন। তিনি বলেন যে “সাম্রাজ্যবাদীদের সময় ফুরিয়েছে, ভারতকে কেউ আক্রমণ করলে চুপচাপ মেনে নেওয়া হবেনা।” প্রধানমন্ত্রীর এই হুঙ্কারের পর চীনা দূতাবাস থেকে অবধি বিবৃতি দেওয়া হয় যে “চীনকে সাম্রাজ্যবাদী শক্তি ভেবে নেওয়া অর্থহীন।” তবে এতকিছুর পরেও মন ভরেনি বিরোধীদের।

প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদম্বরম বলেন “সুযোগ থাকা সত্ত্বেও কেন প্রধানমন্ত্রী সরাসরি চীনের নাম নিয়ে আক্রমণ করেননি? গালওয়ানে ১৫ই জুন কি হয়েছিল, তাও জানতে চান তিনি।” একইরকমের প্রশ্ন উঠে আসে কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালার কাছ থেকেও। তিনিও প্রশ্ন করেন ” জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ, মন কি বাত, তারপর নিমুতে বক্তব্য তিনটি উপলক্ষ্যে কেন প্রধানমন্ত্রী চীনের নাম করেননি?” সুরজেওয়ালা দাবি করেন যে প্রধানমন্ত্রী দুর্বল, তিনি বেজিং এর চোখে চোখ রেখে কথা বলতে ভয় পাচ্ছেন।

কংগ্রেসের টুইটার হ্যান্ডল থেকেও টিপ্পনী কাটা হয় এই বিষয়ে। টুইটে প্রশ্ন করা হয় ” কেন প্রধানমন্ত্রী তার বন্ধু শি জিনপিং এর স্বার্থ বাঁচাচ্ছেন চীনের নাম না নিয়ে? ”

উরি হামলা পরবর্তী সার্জিক্যাল স্ট্রাইক থেকে শুরু করে পুলওয়ামা পরবর্তী এয়ারস্ট্রাইক৷ এর আগেও দেশের বিরোধীরা মোদী সরকারের বিপক্ষকে কড়া জবাব দেওয়ার নীতিতে প্রশ্ন তুলেছেন। কেউ প্রমাণ চেয়েছেন, কেউ আবার সেনাকেই মিথ্যাবাদী বলেছেন। এবার প্রধানমন্ত্রীর আক্রমণে দেশের শত্রুদের বুকে ভয় ধরলেও সমালোচনা থামালেননা বিরোধীদলের নেতারা।