মুণ্ডমালা কোথার রে তোর
খড়গ কোথায় তীক্ষ্ণ ধার
সহস্রবার শৃগালরবে
কোথায় ভয়াল হুহুংকার
হাড়ির মেয়ে চণ্ডী নামে
কাত্যায়নের কন্যা সেই
মাতঙ্গীরও পিতার স্থানে
চণ্ডালরাজ মতঙ্গই
কোথায় রে তোর খর্পর আজ
উপচে পড়া রুধির ধার
কোথায় গেল আগুন নয়ন
ভয়াল সে লোলজিহ্বা তার
ইন্দ্রীরূপে বজ্রধারী
ব্রাহ্মণীতেও আছিস তুই
বারাহী যার তীক্ষ্ণ দাঁতে
তুই ছাড়া আর কিছুই নেই
মৃগেন্দ্র হয় বাহন যে তোর
গণ্ডে যাহার ধর্ম যম
শূলীর শূলে ঝলসে ভানু
অমোঘ শমন সে নির্মম
কৌমারী বা মাহেশ্বরী
শাকম্ভরীর অন্নদান
চণ্ডালিনী ভৈরবী বা
সিংহীরূপে রক্তপান
হাতের মুঠোর ছিন্ন শিরে
শোনিতধারায় রক্তস্নান
রক্তনয়ন আসবপানে
কুঠারফলায় মৃত্যুগান
রামের ধনুষ এবং বাণে
রাবণরাজের বাহুর বল
মৃত্যুরূপে ভয়ালরূপে
কিংবা মুখের তৃষ্ণাজল
ভৈরবেরে ধূমারূপে
তুইই করিস মৃত্যুগ্রাস
অন্নরূপে জীবনরূপে
তুইই আবার ফেরাস শ্বাস
পুরন্দরের স্বর্গভোগে
সেটাই ছিল ইচ্ছা তার
মহিষ পেল অভয়চরণ
অমৃততে কি দরকার
যার যেটুকু কাম্য ছিল
সেটাই তাকে দিস তুলে
যার যেরকম আধার ছিল
সেটাই তাকে দিস ঢেলে
তৃষ্ণা রূপে অন্নরূপে
মৃত্যুরূপেও তোর প্রকাশ
জীবনরূপে মরণরূপে
মুক্তিরূপেও তুই আকাশ
এক হাতেতে মৃত্যু দোলে
আরেক হাতে দুলছে শ্বাস
এক হাতেতে বরাভয় আর
অন্য হাতে চন্দ্রহাস
হুদুর নাচে জুতোর মালায়
প্যাডের ছবি তাতেও তুই
তোকে ছাড়া হয়না কিছুই
তুই ছাড়া আর কিছুই নেই