পাকিস্তানঃ খেলনা ভেবে গ্রেনেড নিয়ে খেলতে গিয়ে হতাহত পাঁচ শিশু

0
447

বঙ্গদেশ ডেস্ক – পাকিস্তান পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার কয়েকটি শিশু খেলতে গিয়ে একটি হ্যান্ড গ্রেনেড কুড়িয়ে পায়। বল ভেবে সেটিকে বাড়িতে নিয়ে আসার পরে আকস্মিকভাবে তাতে বিস্ফোরণ ঘটে। এই বিস্ফোরণে দুটি শিশু মারা যায় এবং তিনজন গুরুতর আহত হয় বলে অপ ইণ্ডিয়া খবরে প্রকাশ করেছে।

ঘটনাটি উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় পেশোয়ারে ঘটে। এখানে কিছু শিশু খোলা জায়গায় একটি লাইভ গ্রেনেড পড়ে থাকতে দেখেছিল এবং সেটিকে খেলনা ভেবে তাদের বাড়িতে নিয়ে যায়। গুরুতরভাবে আহত তিন শিশুকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাদের অবস্থা ‘ক্রিটিকাল’ বলে জানা গেছে।

পুলিশ ঘটনা সম্পর্কে অবহিত ও বিষয়টি নজরে রেখে তদন্ত শুরু করেছে।

পূর্বে পাকিস্তানে ঘটা দুর্ঘটনা

বিস্ফোরক এবং বিভিন্ন অস্ত্র যেন খাইবার পাখতুনখোয়াতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে!
প্রায় চার বছর আগে ২০১৭ সালের মে মাসে, শিশুরা ঘটনাচক্রে আপার ডির অঞ্চলে রাস্তায় খেলার সময়ে একটা লাইভ গ্রেনেড কুড়িয়ে পেয়েছিল এবং এটি খেলনা বলে বিশ্বাস করে বাড়িতে এনেছিল। গ্রেনেডের পিন ধরে ভুলবশত টান দেওয়ার সময় তাতে বিস্ফোরণ ঘটলে, একটি মেয়ে এবং তার মা মারা গিয়েছিল।
২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে এইরকম আরও একটি ঘটনা ঘটে। পাঁচ ভাইবোন খেলনা বলে মনে হচ্ছে এমন কিছু খুঁজে পায় জঞ্জালের স্তুপে। তারপর সেটি নিয়ে খেলতে গিয়ে তারা আহত হয়।

পেশোয়ারঃ জঙ্গী তৈরির আঁতুরঘর

যদিও সমগ্র পাকিস্তান সমস্ত ধরণের জেহাদী সন্ত্রাসীদের লালন পালনের ক্ষেত্র ছিল, তবে আফগানিস্তান সীমান্তের সঙ্গে সান্নিধ্যের কারণে পেশোয়ার বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। পেশোয়ার আফগানিস্তানের সীমান্তবর্তী পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের রাজধানী। দীর্ঘদিন ধরে এই অঞ্চলে সন্ত্রাসীদের একটি শক্তিশালী ঘাঁটি রয়েছে।

তবে পেশোয়ারও বহু ধ্বংসাত্মক সন্ত্রাসী হামলা সহ্য করেছে। প্রায় ছয় বছর আগে পেশোয়ার পাকিস্তানের ইতিহাসের অন্যতম ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার সাক্ষী ছিল। ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ তে তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (টিটিপি) -এর সদস্য ছয় বন্দুকধারী আর্মি পাবলিক স্কুলে সন্ত্রাসী হামলা চালায়। সন্ত্রাসীরা স্কুলে প্রবেশ করে স্কুল কর্মী এবং শিশুদের উপর নির্বিচারে গুলি চালিয়েছিল। আট থেকে আঠারো বছরের মধ্যে ১৩২ জন স্কুলছাত্রী সহ মোট ১৪৯ জন মারা যায় এই ঘটনায়। জঙ্গীদের উপরে লাগাম লাগাতে ইমরান খান নিয়াজির সরকার একেবারেই ব্যর্থ আর তারই শিকার হতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।