খাড়াই পথ অতিক্রম করে ইন্দ্রাসনের শীর্ষে পাঁচ বাঙ্গালী

0
327

বঙ্গদেশ ডেস্ক: বিপজ্জনক ও ভয়ানক পথ পেরিয়ে বুধবার সকালে পীর পঞ্জাল হিমালয়ের সবচেয়ে কঠিন শৃঙ্গ ইন্দ্রাসনের (৬২২১ মিটার) শীর্ষে পৌঁছেছেন পাঁচ বাঙ্গালী আরোহী।

ইন্দ্রাসন ও তার পড়শি দেও টিব্বা (৬০০১ মিটার) অভিযানের লক্ষ্যে গত ২৮ মে কলকাতা থেকে হিমাচলের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন সোনারপুরের একটি পর্বতারোহণ ক্লাবের ১১ জনের একটি দলের সঙ্গে। বুধবার সকাল ১০টা ২০ মিনিট নাগাদ চার শেরপাকে সঙ্গে নিয়ে শীর্ষে পৌঁছান পর্বতারোহী ও দলনেতা রুদ্রপ্রসাদ হালদার, পার্থসারথি লায়েক, রুদ্রপ্রসাদ চক্রবর্তী, নৈতিক নিলয় নস্কর, দেবাশিস মজুমদার ও শেখ ওমর ফারুক। তবে একটুর জন্য ইন্দ্রাসনের শৃঙ্গ ছোঁয়া অধরা রয়ে গেল সপ্তশৃঙ্গজয়ী পর্বতারোহী সত্যরূপ সিদ্ধান্তের। সামিটের পৌঁছনোর একটু আগেই ফিরে যেতে হয় তাকে। বিকেল ৬টা নাগাদ বাকিরাও ফিরে আসে সামিট ক্যাম্পে।

খামখেয়ালি আবহাওয়াকে তোয়াক্কা না করেই ইন্দ্রাসন সামিটের লক্ষ্যে গত রবিবার বেসক্যাম্প থেকে যাত্রা শুরু করেন সাত পর্বতারোহী। সোমবার সারা দিন হেঁটে ক্যাম্প ১ থেকে পৌঁছে যান ৫৭০০ মিটার উচ্চতার ক্যাম্প ৩-এ। রাস্তায় একাধিক লুকনো ক্রেভাসে বিপদে পড়েও রক্ষা পেয়ে যান তিন আরোহী। এর পরে মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে শুরু হয় ‘সামিট পুশ’।

১৯৬২ সালে জাপানের একটি দল প্রথম ইন্দ্রাসনের শীর্ষে পৌঁছায়। তবে চার শেরপা মিলিয়ে মোট দশ জনের একসঙ্গে ইন্দ্রাসনের সামিট ছোঁয়া এর আগে ঘটেনি। ঠিক কতটা কঠিন ইন্দ্রাসনের পথ? সামিট ক্যাম্প থেকে রুদ্রবাবু বার্তা দিয়েছেন, খুবই কঠিন। প্রতি বাঁকে রয়েছে চমক। একই সঙ্গে খাড়াই পাথর এবং বরফের দেওয়াল‌ও চড়তে হয়েছে। তবে শীর্ষ ছুঁতে পেরে সকলে ভীষণ আনন্দিত।