জঙ্গী ট্রেনিংয়েও ভেজাল! নিজেদের IED ফেটে ‘হুরপ্রাপ্তি’ ৩০ তালিবান জঙ্গীর

0
980

বঙ্গদেশ ডেস্ক:- আফগানিস্তান এমন একটি ভূভাগ যার তৈল সম্পদের দখল পেতে বারবার সেই দেশ আক্রমণ করেছে স্বৈরাচারী শক্তি। এই মুহূর্তে কোনো যুদ্ধ না চললেও সেখানে বারংবার আক্রমণ চালাচ্ছে মৌলবাদী ইসলামিক শক্তিরা। আফগানিস্তানের সুরক্ষা সূত্রকে উদ্ধৃত করে খামা নিউজ তাদের রিপোর্টে জানিয়েছে, বালখ প্রদেশের একটি মসজিদে বোমা বিস্ফোরণে কমপক্ষে ৩০ জন জঙ্গী নিহত হয়েছেন।

গত সপ্তাহে, শনিবার ২০৯ শাহিন কর্পস এক বিবৃতিতে জানিয়েছিল, সেদিন সকালে একটি প্রচণ্ড তীব্র বোমা বিস্ফোরণ ঘটে। এর ফলে ছয় বিদেশি নাগরিকসহ ৩০ জন তালিবান জেহাদী, যাদের মধ্যে মাইন প্রস্তুতকারী বিশেষজ্ঞরাও ছিল, নিহত হয়। উক্ত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিস্ফোরণের কারণে তালিবানদের সঙ্গে থাকা ছয় বিদেশি নাগরিকের লাশ আলাদা করে শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।

এখনও অবধি যা শোনা যাচ্ছে, আফগানিস্তানের বালখ প্রদেশের দৌলতাবাদ জেলার কুলতাক গ্রামের একটি মসজিদে একদল তালিবান জঙ্গী জড়ো হয়েছিল। সেখানে এই তালিবান যোদ্ধারা বোমা ও আইইডি তৈরির নির্দেশ দিচ্ছিল। মোদ্দা কথা ‘ট্রেইনি জিহাদি’রা প্রশিক্ষণ নিতে একটি স্থানীয় মসজিদে জড়ো হয়েছিল। সেখানেই কোনো ভুল ঘটায় ৩০ জন হবু জঙ্গী বিস্ফোরণের শিকার হয় ও প্রাণ হারায়।

অপর একটি ঘটনায় আফগানিস্তানের কুন্দুজ প্রদেশে, ইমাম সাহেব জেলার কোটার ব্লাক গ্রামে আর একটি দুর্ঘটনা ঘটে।তালিবান জঙ্গীদের লাগানো আইইডিতে হওয়া বিস্ফোরণে দুই শিশু নিহত হয়েছে।

একদিকে সরকারের ইচ্ছা এবং অন্যদিকে আমেরিকার মদতে শান্তি আলোচনা ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার প্রচেষ্টা উভয়ই চলছে। তা সত্ত্বেও তালিবান হামলা এবং হিংসা সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে যার শিকার হচ্ছে সাধারণ মানুষ। অন্যদিকে তালিবান হাই কম্যান্ড পুরো মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের উপর ভিত্তি করে শর্তসাপেক্ষে হামলা কমানো ও যুদ্ধবিরতির কথা ভাববে বলে জানিয়েছে। কিন্তু যেভাবে তারা হিংসা ও হানাহানিতে মদত দিচ্ছে তাতে ভবিষ্যতে নির্বাচিত আফগান সরকারকে তারা ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করবে কি না, সেই দুশ্চিন্তা থেকেই যাচ্ছে।

হাক্কানি নেটওয়ার্কের বকলমে পাক আই.এস.আই ইতিমধ্যেই সে দেশে নিজেদের দখল মজবুত করতে চাইছে। কিছুদিন আগেই সেখানে পাকিস্তানের দোসর চীনের দ্বারা পরিচালিত একটি স্পাই রিং-ও ধরা পড়ে। এমতাবস্থায় আমেরিকার নতুন সরকার কি নীতি নেবে সেই নিয়েও যথেষ্ট অনিশ্চয়তা রয়েছে। কিন্তু তালিবান জঙ্গীরা যে নিজেদের ক্ষমতা বাড়াচ্ছে তা প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের কাছে দিনের আলোর মতোই স্পষ্ট।