হিন্দুদের সাহসিকতা ও গৌরবের ইতিহাস পড়ে আমি মুগ্ধ:জন্টি রোডস

0
1918

বঙ্গদেশ ডেস্ক:- আক্ষেপের সুরে বলা হয় বর্তমানে হিন্দুরা নিজেদের ইতিহাস সম্পর্কে যতটা ওয়াকিবহাল তার থেকে বেশি ইতিহাস জানে অন্যান্য দেশের বাসিন্দারা। এর মূল কারণ‌ হচ্ছে ভারতীয়দের থেকে আসল ইতিহাস ইচ্ছাকৃতভাবে একবারে চেপে দেওয়া হয়েছে। চীন, জাপান,জার্মানি বা আরব দেশের প্রাচীন ইতিহাস বই ঘাঁটাঘাঁটি করলে এমন কিছু তথ্য বেরিয়ে আসবে যা ভারতীয়দের পড়ানো বা জানানোই হয় না। আর অভিযোগ, এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে হিন্দু বিরোধীরা তাদের প্রোপোগান্ডা চালানোয় আরও বেশি মাত্রায় সুযোগ পেয়ে যায়।

সমগ্র বিশ্ববাসী একবাক্যে স্বীকার করে ভারতের হিন্দু সংস্কৃতি বিশ্বের সবথেকে প্ৰাচীন সংস্কৃতি। ভারতীয় হিন্দুদের ইতিহাস সাহসিকতা ও গৌরবে পরিপূর্ণ। তা সত্ত্বেও ভারতীয়দের মানসিকভাবে দুর্বল প্রতিপন্ন করার জন্য শুধুমাত্র বিকৃত ইতিহাস পড়ানো হয়। এমনটাই অভিযোগ করেন একদল। তবে এতো খারাপের মধ্যে একটি ভালো লাগার বিষয় হল, ভারতীয়রা নিজের শিকড়ের ইতিহাস পড়া থেকে বঞ্চিত হলেও বিদেশীরা ভারতীয় হিন্দুদের ইতিহাস সম্পর্কে লাগাতার অধ্যয়ন করে চলেছে।

সম্প্রতি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা জোনাথন নেইল জন্টি রোডস হিন্দুদের ইতিহাসের উপর নানা বই পড়া শুরু করেন। জন্টি রোডস জানিয়েছেন হিন্দুদের ইতিহাস পড়ে বিমুগ্ধ হয়েছেন। প্রাক্তন ক্রিকেটার জানিয়েছেন, যে তিনি ইতিমধ্যে ভগবান দেবাদিদেব মহাদেবের ওপর বই পড়ে ফেলেছেন। তিনি আরও বলেছেন, উনি এবং উনার স্ত্রী দুজনেই হিন্দুদের সংস্কৃতি দ্বারা দারুনভাবে প্রভাবিত হয়েছেন। তিনি হাসতে হাসতে জানিয়েছেন, বর্তমানে কিংবদন্তি ভারতীয় রাজা সুহেলদেবের ইতিহাস পড়তে শুরু করেছেন।

রাজা সুহেলদেব পরিচিত ছিলেন গো-রক্ষক এবং সাধুসন্তসেবক হিসাবে। সালার মাসুদ কুবুদ্ধি ব্যবহার করে যুদ্ধক্ষেত্রে গোরু বেঁধে রেখেছিল। উদ্দেশ্য ছিল, রাজা সুহেলদেব গো-বধ করবেন না এবং সেই সুযোগকে অস্ত্র করে তাঁর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়া।
কিন্তু সুহেলদেব সূত্র মারফত খবর পেয়ে যুদ্ধের আগের দিন রাতেই সব গোরুগুলোর বাঁধন খুলে ছেড়ে দিয়েছিলেন।
দু’পক্ষের মধ্যে শুরু হয় তুমুল লড়াই। একদিকে বিশাল মাসুদ বাহিনী এবং অন্যদিকে মায়ের জন্য বলিপ্রদত্ত সুহেলদেবের মুষ্টিমেয় সেনাদল। শেষ পর্যন্ত দেশভক্তির কাছে হার মানলো অনুপ্রবেশকারী বাহিনী। রাজা সুহেলদেবের হাতে শোচনীয়ভাবে পরাজিত ও নিহত হয় সালার মাসুদ।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ভারতের প্রাচীন সভ্যতা দ্বারা প্রভাবিত হয়ে জন্টি রোডস নিজের মেয়ের নামকরণ করেছেন ইন্ডিয়া। জন্টি রোডস এর আগে যজ্ঞানুষ্ঠান, পূজা, গঙ্গা স্নান করার জন্য বহুবার মিডিয়ায় শিরোনামে উঠে এসেছেন। গঙ্গা স্নানের পর অন্যতম বিখ্যাত ফিল্ডার জন্টি রোডস বলেছিলেন, ‘গঙ্গাবক্ষে অবগাহন করলে মোক্ষ লাভের সম্ভবনা বৃদ্ধি পায়।’ এখানে মোক্ষ লাভ বলতে এখানে উনি মৃত্যু পরবর্তী আত্মার মুক্তির কথা বলেছেন।
ভারতের বিষয়ে বলতে গিয়ে প্রাক্তন ক্রিকেটার বলেছেন, ভারতকে আমি একলাইনে বা এক শব্দে প্রকাশ করে দেব সেটা সম্ভব নয়। ভারত একটি মহান দেশ যাদের সংস্কৃতির তুলনা কোনোভাবেই সম্ভব নয়।