বঙ্গদেশ ডেস্ক:কলকাতার বনহুগলিতে তৈরি হতে চলেছে গয়না হাব। রাজ্যের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে এটি তৈরি করবে জেম অ্যান্ড জুয়েলারি এক্সপোর্ট প্রমোশন কাউন্সিল (জিজেইপিসি)। মঙ্গলবার জিজেইপিসি আয়োজিত সভায় অর্থ ও শিল্পমন্ত্রী অমিত মিত্র জানিয়েছেন, এই প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ৬ একর জমি দেবে রাজ্য সরকার। মূলত বৌবাজারের কারিগররাই গয়না তৈরির জন্য জায়গা পাবেন এই হাবে। এর ফলে দূষণমুক্ত কলকাতার লক্ষ্যেও খানিকটা এগনো সম্ভব হবে।
পাশাপাশি, রাজ্যে নতুন দুটি কমন ফেসিলিটি সেন্টার গড়ার পরিকল্পনাও রয়েছে। ওই কেন্দ্রে গয়না তৈরির দামী যন্ত্রপাতিও রাখা হবে। যেসব কারিগরের ওই যন্ত্রপাতি কেনার ক্ষমতা নেই, তাঁরা সেখানে গিয়ে গয়না তৈরি করাতে পারেন।কলকাতার নিজস্ব গয়না ‘কলকাত্তি’র পেটেন্ট নিতে বিশেষ উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য, এমনটাও জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী।
বঙ্গীয় স্বর্ণশিল্পী সমিতির পাশাপাশি ‘কলকাত্তি’ গয়নার জিআই স্বীকৃতির জন্য আবেদন করেছেন জেম অ্যান্ড জুয়েলারি এক্সপোর্ট প্রমোশন কাউন্সিলও। গত ১৯ এপ্রিল জিওগ্রাফিক্যাল ইন্ডিকেশন রেজিস্ট্রিতে আবেদন করা হয়েছে জিআইয়ের জন্য।
কেন আলাদা করে জিআইয়ের প্রয়োজন রয়েছে এর উত্তরে বঙ্গীয় স্বর্ণশিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক টগরচন্দ্র পোদ্দার বলেছেন, ‘বাঙ্গলার বাইরে মুম্বই, চেন্নাই, দিল্লি, বেঙ্গালুরু সহ নানা জায়গায় ছড়িয়ে আছেন হাজার হাজার বাঙ্গালী কারিগর। তারা নিজ দক্ষতায় যে গয়নার নকশা করছে, সেগুলোই বড় বড় সংস্থা ‘কলকাত্তি’ গয়না তকমা দিয়ে রপ্তানি করছে। আরব বা ইউরোপের দেশগুলিতে এর চাহিদা ভীষণ। অল্প সোনায় নিখুঁত কাজ এর অন্যতম বৈশিষ্ট্য। অথচ কলকাতায় সেগুলোর কদর নেই। এখনও অনেক প্রবীণ ও দক্ষ কারিগর রয়েছেন যাদের হাতে কাজের অভাব।