মানবচালিত ট্যাঙ্ক বিধ্বংসী মিসাইল তৈরি করে তাক লাগাল বেঙ্গালুরুর সংস্থা

0
705

বঙ্গদেশ ডেস্ক – মানব বাহিত (ম্যান-পোর্টেবল) ATGM ট্যাঙ্ক বিধ্বংসী মিসাইল তৈরির জন্য রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ভারত ডায়নামিক্স লিমিটেড (বিডিএল) -এর সাথে একটি কো-ডেভেলপমেন্ট চুক্তি স্বাক্ষর করেছে বেঙ্গালুরু ভিত্তিক স্টার্টআপ ‘টনবো ইমেজিং’। এর সঙ্গেই তারা অল্প দূরত্বের মিসাইল তৈরিতে বহু প্রচলিত এক ধারণাকেও ভেঙে দিয়েছে। এই গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্রগুলি হালকা ওজনের হবে, অত্যাধুনিক ইমেজিং সিস্টেম থাকবে এবং এটি তাদেরকে শত্রু ট্যাঙ্কগুলি খুঁজে বের করতে এবং তাদের সবচেয়ে দুর্বল পয়েন্টে আঘাত করতে সাহায্য করবে।

রাত্রিকালীন যুদ্ধ পরিচালনার ‘উদ্দেশ্যে ইনফ্রিজড ইনফ্রারেড’ লাগানো ‘এটিজিএম’গুলি তৈরির ক্ষেত্রে ভারত বর্তমানে একটি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। ভারতে প্রতিরক্ষা বিষয়ক গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা ডিআরডিও তৃতীয় প্রজন্মের নাগ ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করবে বলে প্রতিরক্ষা বাহিনী অপেক্ষা করে আছে বেশ লম্বা সময় ধরে। তবে এগুলির খরচ এবং ক্ষমতা নিয়ে আশঙ্কা থেকেই গেছে।

পুলওয়ামা হামলার পালটা হিসাবে বালাকোট বিমান হামলার পর, ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী পাকিস্তান সীমান্তে মোতায়েনের জন্য জরুরি ভিত্তিতে ২৪০ টি স্পাইক মিসাইল অর্ডার করতে বাধ্য হয়।

তবে টনবোর ইমেজিং সিস্টেমটি তৃতীয় প্রজন্মের সিস্টেমগুলিকেও পিছনে ফেলে দিয়েছে। এটিতে একটি ‘কুলড’ ইমেজিং সিস্টেম রয়েছে। ফলত এই ইমেজিং সেন্সরগুলিকে শীতল করার জন্য ক্রায়োজেনিক সিস্টেমের উপরে নির্ভরশীলতা যুগান্তকারীভাবে অতুদ্রুত হ্রাস পেয়েছে, যা বাজারে থাকা অন্য সিস্টেমগুলির জন্য বাধ্যতামূলক। এর ফলস্বরূপ ‘হ্যান্ড হেল্ড’ মিসাইলগুলির মোট ব্যয় ৩৩ শতাংশ কমে প্রায় ৫০ শতাংশে নেমে আসে।

টনবোর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান CEO অরবিন্দ লক্ষ্মীকুমার বলেছিলেন, “টনবো একটি অতি হালকা Uncooled Seeker তৈরি করেছে। নাগ মিসাইলের IIR Seeker একটি শীতল আর খুব ভারী সিস্টেম। একটি Cooled সিস্টেম এবং একটি Uncooled সিস্টেমের মধ্যে বড় পার্থক্যগুলির একটি হল ব্যয়।” আশা করা যাচ্ছে ভারতীয় সেনার কাছ থেকে তারা একটি বড়ো অর্ডার পাবে। আগামী দিনে এই অস্ত্রটি এক্সপোর্ট করার সুযোগও খুব বেশি।