চীনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ভারতের সাথে মৈত্রী স্থাপনে উদ্যোগী ওলির নেপাল

0
865

বঙ্গদেশ ডেস্ক:- ভারতের উত্তরাখণ্ডের তিনটি এলাকা দেশের মানচিত্রে স্থান দিয়ে ভারতের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়েছিলেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলি। ক্রমাগত ভারত বিরোধী বিবৃতি দিয়ে সম্পর্ক আরও তিক্ত করে তোলেন তিনি। কিন্তু সেই ওলিই এবার পাল্টি খেয়ে ঘুরে গেলেন। তাঁর মন্ত্রিসভা থেকে ছাঁটাই করে দেওয়া হল ভারত বিদ্বেষী বলে পরিচিত উপ-প্রধানমন্ত্রী ঈশ্বর পোখরেলকে।

ভারতের সঙ্গে নেপালের সম্পর্ক নষ্ট করার পেছনে চীন কলকাঠি নাড়ছে এমনটাই অভিযোগ করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। এহেন অতরঙ্গ ‘বন্ধু’ চীনই আবার উত্তর নেপালের একাংশ দখল করে একাধিক বিল্ডিং নির্মাণ করেছে। এই ঘটনার প্রতিবাদে কাঠামান্ডুতে চীনা দূতাবাসের সমানে বিক্ষোভও দেখায় বিক্ষুব্ধ নেপালী জনতা।

সূত্রের খবর, আগামী মাসের ৩ নভেম্বর নেপাল সফরে যাচ্ছেন ভারতীয় সেনাপ্রধান নারাভানে। তার আগেই উপ-প্রধানমন্ত্রীকে অপসারণ করে মৈত্রীর বার্তা দিলেন ওলি! এমনটাই মনে করছে বিশিষ্ট মহল। উপ-প্রধানমন্ত্রী পোখরেলের দখলে এতদিন ছিল দেশের প্রতিরক্ষা দপ্তর। এখন তাঁর দায়িত্বে আর কোনও দফতর নেই।

উল্লেখ্য, গত মে মাসে লিপুলেখ হয়ে মানস সরোবর পর্যন্ত রাস্তা তৈরির কাজকে কেন্দ্র করে ভারত ও নেপালের মধ্যে সংঘাত শুরু হয়। পাশাপাশি ভারতের তিনটি এলাকা নেপালের মানচিত্রে স্থান দিয়ে আগুনে ঘি ফেলে নেপাল। এনিয়ে কড়া জবাব দিয়েছিলেন সেনাপ্রধান নারাভানে। তিনি আকার ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, নেপালেরও কার্যকলাপের পেছনে চিনের মদত স্পষ্ট। নারাভানের ওই মন্তব্যে বেজায় খাপ্পা হয়ে ভারতীয় সেনার গোর্খা জওয়ানদের খেপিয়ে তোলার চেষ্টা করেন ঈশ্বর পোখরেল। তিনি বলেন, নারাভানের মন্তব্য নেপালিদের ভাবাবেগে কুঠারাঘাত করেছে। গোর্খারা ভারতের নিরাপত্তার সুরক্ষার্থে প্রাণ বিসর্জন দিয়েছেন। নারাভানের এই মন্তব্যের পর ভারতীয় সেনায় গোর্খা সেনারা আর কোনোভাবেই ঊর্ধ্বতন অফিসারদের সম্মান করবে না।