বঙ্গদেশ ডেস্ক – পাকিস্তানের হিন্দু সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার এখনও অব্যাহত রয়েছে। গত শনিবার সিন্ধু প্রদেশের লারকানার আলি গোহরাবাদ এলাকা থেকে আরতি বাই নামে একজন ২২ বছর বয়সী হিন্দু মেয়েকে অপহরণ করা হয়েছিল। জোর করে তাকে ইসলাম গ্রহণ করানো হয় এবং এক মুসলিম ব্যক্তির সঙ্গে জোর করে বিবাহ দেওয়া হয়। এরপরে পাকিস্তানি আদালত তার বাবা-মাকে নিজের মেয়ের সঙ্গে দেখা করতে দিতে অস্বীকার করে। আদালতের এই অন্যায় আচরণের প্রতিবাদে স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের সদস্যরা আদালতের বাইরে বিক্ষোভ শুরু করে।
আক্রান্তের পরিবারের বক্তব্য, ২০২১ সালের দোসরা এপ্রিল শনিবার মেয়েটি নিখোঁজ হয়ে যায়। মেয়েটি রেশম গলিতে অবস্থিত একটি বিউটি পার্লারে কাজ করত এবং সেখানে যাওয়ার জন্যই বেরিয়েছিল। অনেক্ষণ পরেও বাড়ি না ফেরায় তার বাবা সন্দেহ করেছিলেন, তাঁর মেয়েকে সম্ভবত অপহরণ করা হয়েছে এবং মেয়েকে উদ্ধার করতে তিনি পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
মেয়েটির পরিবার স্বাভাবিক ভাবেই তার অবস্থা সম্পর্কে চিন্তিত ছিল এবং এই রহস্যজনক অন্তর্ধানের বিষয়ে খোঁজ খবর করতে শুরু করে। পরে জানা যায় মেয়েটিকে জোর করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করানো হয়েছে। আরতিকে, তার অপহরণকারীকেই বিয়ে করতে বাধ্য করা হয়েছে বলে স্বরাজ্য তাদের রিপোর্টে উল্লেখ করেছে।
Just in: Hindu girl Aarti who was abducted from Larkana, got converted to Islam, and married off to man.
Local court kept girl’s parents from meeting with girl. In video seen Hindu community held protest and asked for justice. “Khapay Phapay Justice Khapay”
Video:local jour pic.twitter.com/SArRIMM54r
— Veengas (@VeengasJ) April 9, 2021
গত সপ্তাহের শুক্রবার মেয়েটিকে অপহরণের ছয় দিন পর করাচির এক সাংবাদিক ভেনগাস টুইটারে একটি ভিডিও পোস্ট করেন। এখানে দেখা যাচ্ছে, হিন্দু সম্প্রদায়ের সদস্যরা অপহৃত মেয়ের বাবা-মায়ের জন্য ন্যায়বিচার চেয়ে প্রতিবাদ করছেন। স্থানীয় আদালত বাবা-মাকে তাদের মেয়ের সঙ্গে দেখা করতে দেয়নি। এই খবর পাওয়ার পরে জনতা আরও প্রতিবাদী হয়ে ওঠে। বর্তমান পাকিস্তানে হিন্দুদের সংখ্যা ১ শতাংশেরও কম। এই স্বল্পসংখ্যক হিন্দুরাও নিজের জীবন ও জীবিকা নিয়ে অত্যন্ত ভীত।