প্রথম মহিলা পাইলট হিসেবে রাফাল ওড়াবেন শিবাঙ্গী সিং

0
909

বঙ্গদেশ ডেস্ক: মিগ-২১ বাইসন জেট ওড়াতে দক্ষ। বায়ুসেনার উইং কম্যান্ডার অভিনন্দন বর্তমানের সঙ্গে একই এয়ারবেসে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। দক্ষ, সাহসী অফিসার অভিনন্দনের সঙ্গে মিগ ফাইটার জেট ওড়ানোর অভিজ্ঞতাও রয়েছে। আকাশে দীর্ঘক্ষণ যুদ্ধবিমান নিয়ে চক্কর কাটতে পারেন বায়ুসেনার এই দক্ষ পাইলট। নাম শিবাঙ্গী সিং। ফরাসি রাফাল ফাইটার জেটের তিনিই প্রথম মহিলা পাইলট হতে চলেছেন।

এখন ‘গোল্ডেন গার্ল’ বলেই ডাকা হচ্ছে লেফটেন্যান্ট শিবাঙ্গীকে। অম্বালা বায়ুসেনা ঘাঁটির ১৭ নম্বর গোল্ডেন অ্যারো স্কোয়াড্রনের ফাইটার পাইলট হতে চলেছেন তিনি। এই গোল্ডেন অ্যারো স্কোয়াড্রনেই কিছুদিন আগে রীতিমতো আড়ম্বরের সঙ্গে যোগ দিয়েছে ফ্রান্স থেকে কেনা পাঁচ রাফাল ফাইটার জেট।

ফের একবার ইতিহাস লিখতে চলেছে অম্বালা গোল্ডেন অ্যারো। প্রথমবার রাফালের মতো দুর্ধর্ষ ফাইটার জেট ওড়াবেন এক মহিলা এয়ার ফাইটার পাইলট। চিনের পঞ্চম প্রজন্মের জে-২১ চেংড়ু যুদ্ধবিমানের মোকাবিলা করতে পারে ফরাসি রাফাল। মিসাইল ছোড়ার প্রযুক্তিও আছে রাফালের। গর্বের সঙ্গে এমন যুদ্ধবিমানের ককপিটের হাল ধরবেন শিবাঙ্গী।

ছোট বেলা থেকেই আকাশে ওড়ার স্বপ্ন দেখতেন শিবাঙ্গী। যেমনটা দেখতেন কার্গিল গার্ল গুঞ্জন। তবে গুঞ্জন যে পথ দেখিয়ে গিয়েছেন সেই পথে নয়া নজির গড়তে চলেছেন শিবাঙ্গী। তবে তাঁর সফরে যে বিষয়টা সবচেয়ে আশ্চর্যজনক হচ্ছে, তা হল সবচেয়ে পুরনো মিগ থেকে সবচেয়ে আধুনিক রাফালে বিমান ওড়াবেন তিনি৷ তাঁরই ব‌্যাচের আরেক সখি ফ্লাইট লেফটেন‌্যান্ট প্রতিভা এই মুহূর্তে এসইউ-৩০ এমকেআই উড়ানের দায়িত্বে। শিগগিরই গোল্ডেন অ‌্যারোর দায়িত্বে শিবাঙ্গী আসছেন। কারণ ‘সোনার তির’ আকাশে ছুটতে আর দেরি নেই বিশেষ।

উল্লেখ্য, গত জুলাইয়ের শেষদিকে ভারতে আসার পর ১০ সেপ্টেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে বায়ুসেনায় যুক্ত হয় পাঁচটি রাফালে যুদ্ধবিমান। বর্তমানে সেগুলির ঠিকানা আম্বালা এয়ারবেস। রাফালে ছাড়াও আম্বালায় রয়েছে সুখোইয়ের মতো অত্যাধুনিক ফাইটার জেট।

অম্বালায় ভারতীয় বায়ুসেনার ঘাঁটি ঘিরে রয়েছে ধুলকোট, বলদেব নগর, গার্নালা ও পঞ্জোখারা গ্রাম। একপাশ দিয়ে চলে গিয়েছে ১-এ নম্বর জাতীয় সড়ক। কেউ যাতে এই ঘাঁটিতে অতর্কিতে হামলা চালাতে না পারে, তার জন্য বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে।

এছাড়া, আম্বালা বিমানঘাঁটির কাছেই রয়েছে আর্মির ২ কোরের সদরদপ্তর। ফলে নিরাপত্তার দিকটিও এখানে যথেষ্ট মজবুত। তাই আপাতত উদ্বেগের তেমন কারণ নেই বলেই মনে করছে প্রশাসন।

সমুদ্র ও আকাশে বৈষম্যের সীমা ভেঙেছে। নারী ও পুরুষে ভেদাভেদ না করে দক্ষতা ও সাহসের ভিত্তিতেই দক্ষ অফিসারদের বেছে নেওয়ার রীতি শুরু হয়েছে। ভারতীয় নৌবাহিনীর প্রথম মহিলা পাইলটের দায়িত্ব পেয়েছিলেন লেফটেন্যান্ট শিবাঙ্গী স্বরূপ।

সম্প্রতি যুদ্ধজাহাজেও মহিলা লেফটেন্যান্ট অফিসারদের নিয়োগ করা শুরু হয়েছে। সে দায়িত্ব পেয়ে নজির গড়েছেন সাব লেফটেন্যান্ট কুমুদিনী ত্যাগী ও সাব লেফটেন্যান্ট রীতি সিং।