‘মীরাক্কেল’ থেকে বাদ শ্রীলেখা, দেখা যেতে পারে নুসরত কিংবা স্বস্তিকা কে

0
755

বঙ্গদেশ ডেস্ক: জি বাংলা তো বটেই, বাংলা টেলিভিশনের ইতিহাসে অন্যতম সফল ও জনপ্রিয় রিয়্যালিটি শো হল মীরাক্কেল। সঞ্চালক মীর আফসার আলি তো বটেই এই শোয়ের এই খ্যাতির জন্য দায়ী আর যে সমস্ত ব্যক্তিত্ব তার মধ্যে বিচারক শ্রীলেখা মিত্র অন্যতম। প্রায় এক দশকেরও বেশী সময় ধরে অভিনেতা পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রজতাভ দত্তের সঙ্গে বিচারক আসনে দেখতে পাওয়া যেত টলিউড অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্রকে। এমন জনপ্রিয় রিয়্যালিটি শো ই আবার ফিরতে চলেছিল টেলিভিশনের পর্দায়। এরই মাঝে সোমবার রাতে আচমকা শ্রীলেখা ফেসবুকে লেখেন যে, এইবারে মীরাক্কেল শুরু হতে চলেছে তাঁকে ছাড়া।

ফেসবুকে তিনি লেখেন, ‘ সবচেয়ে জনপ্রিয় কমেডি শো শুরু হচ্ছে আমাকে ছাড়া। সত্যি কথা বলার মুল্য হয়ত এভাবেই চোকাতে হয় আমাকে।সিস্টেমের সব অংশে তেল না দেওয়ার চরম মুল্য (আপনারা বুঝে নিন) চোকাতে হয়। আপনি ঠিকই বলেছেন মহিলা, আমি আমার খামতিগুলোকে মেনে নিচ্ছি। আমার নিন্দুকেরা এখন হুল্লোড় করতে পারেন।’

টাইমস অফ ইন্ডিয়ার একটি প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে যে শ্রীলেখার জায়গায় বিচারক হিসেবে স্বস্তিকা, নুসরত জাহান কিংবা পাওলি দামকে দেখা যেতে পারে৷ শ্রীলেখার কাছেও পৌঁছেছে সেই খবর। এই খবরের লিঙ্ক শেয়ার করে শ্রীলেখা লিখেছেন ‘ এতো পুরো খাপে খাপ! ভাগ্যিস আমার খামতি উনি ধরতে পেরেছিলেন, গুড লাক’৷

এতেই থেমে থাকেননি শ্রীলেখা! অন্য একটি ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘এগুলোই প্রমাণ করে নেপোটিজম কতটা গভীরে রয়েছে এবং আমি ঠিক বলছিলাম। এটা আমার সঙ্গে হামেশাই ঘটেছে, বরং না ঘটলেই আমি চমকে যেতাম। এবং হ্যাঁ, ‘মহিলা’ তোমার যে ছোট্ট প্রশ্নের জবাব আমি সেদিন এড়িয়ে গেছিলাম তা আর এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। তুমি একদম সঠিক আমার খামতি প্রসঙ্গে। আমি নম্রতাপূর্বক মেনে নিচ্ছি৷ আমি সিস্টেমের সঙ্গে লড়াই করে হেরে যেতে পারি তবে মাথানত করব না।’

প্রসঙ্গত, শ্রীলেখার ফেসবুক পোস্টে বারেবারে উল্লেখিত ‘মহিলা’ যে বাস্তবে কে, তা আঁচ করতে পেরেছেন বহু দর্শকই। কয়েকদিন আগে যখন তিনি টলি পাড়ায় নেপোটিজম নিয়ে আওয়াজ তুলেছিলেন, তখন অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে ঠান্ডা লড়াই দেখা গিয়েছিল শ্রীলেখার। স্বস্তিকা বলেছিলেন, ‘ নিজের খামতি ঢাকতে এভাবে স্লাটশেমিং করে অন্য অভিনেত্রীদের অপমানের অর্থ নেই।’ স্পষ্ঠতই শ্রীলেখার দিকেই যে তিনি এই তীর ছুঁড়েছিলেন, বুঝতে অসুবিধে হয়নি কারুর।

তবে শ্রীলেখাকে বাদ দেওয়ার প্রসঙ্গে কোনোরকম মন্তব্য করেনি চ্যানেল কতৃপক্ষ। মীরাক্কেলের নতুন সিজন নিয়েও পাকাপাকিভাবে কিছু জানানো হয়নি তাদের তরফ থেকে। মীর আফসার আলিও এক্ষেত্রে মুখ খোলেননি। তবে শ্রীলেখা-কে এভাবে বাদ দেওয়ার খবরে হতাশ বহু ভক্ত। মীরাক্কেলের প্রাক্তন প্রতিযোগী স্বরুপ চট্টোপাধ্যায় যেমন! তার মতে এই সিদ্ধান্ত মীরাক্কেলের জন্য আত্মঘাতী একটি সিদ্ধান্ত, শ্রীলেখাহীন মীরাক্কেল অনেকটা প্রিন্স অফ ডেনমার্ক ছাড়া হ্যামলেট।’