অর্থনৈতিক বৃদ্ধিতে চীনকে পিছনে ফেলল তাইওয়ান, চাপে বেজিং

0
685

বঙ্গদেশ ডেস্ক – ইংরাজিতে একটি প্রবাদ আছে, We can’t choose our neighbours (আমরা আমাদের প্রতিবেশী বেছে নিতে পারি না)। চীন এবং পাকিস্তান এরকমই দুই খারাপ প্রতিবেশী (bad neighbours), কিন্তু ভারত নিজের সীমান্ত পরিবর্তন করতে পারবে না পছন্দ মতো। তবে তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা হল চীনের এই দ্বন্দ্ব শুধুমাত্র ভারতের সঙ্গেই নেই, রয়েছে জাপান, কোরিয়া, ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া এবং তাইওয়ানের সঙ্গেও। তাইওয়ান একটি ক্ষুদ্র দ্বীপরাষ্ট্র কিন্তু ‘ওয়ান চাইনা পলিসি’র (One China Policy – চীনের মতে মাকাউ, তাইওয়ান, তিব্বত ইত্যাদি সবই চীনের অংশ) জন্যে ‘গলার কাঁটা’।

এই দেশটিই একটি অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটিয়েছে। তাইওয়ান ২০২০ সালে এশিয়ার সেরা পারফর্ম্যান্স করা অর্থনীতিতে পরিণত হয়েছে। ঠিক ৩০ বছর বাদে তাইওয়ান চীনকে অর্থনীতির বিকাশে হারালো। এই ফলাফল দ্বীপটির নিজস্ব ও উচ্চমানের টেক্নোলজি রফতানির জন্যই সম্ভব হয়েছে। প্রযুক্তির বিশ্বব্যাপী চাহিদার ফলস্বরূপ কোভিড -১৯ মহামারীর প্রভাব কাটিয়ে উঠে তারা এই অর্থনৈতিক অগ্রগতি বজায় রাখতে পেরেছে।

শুক্রবার দ্বীপটির স্ট্যাটিসটিক্স বিভাগের অগাম অনুমান অনুসারে, ২০১২ সালের তুলনায় তাইওয়ানের অর্থনীতি ২০২০ সালে ২.৯৮ শতাংশ বেড়েছে। অর্থাৎ তাদের পারফর্ম্যান্স, সে দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তৈরি করা ২.৫৮% পূর্বাভাসকেও ছাপিয়ে গিয়েছে। অন্যদিকে ভিয়েতনামের ২.৯% বৃদ্ধিকেও তারা ছাড়িয়ে গিয়েছে। পূর্বে কিছু অর্থনীতিবিদ ভিয়েতনামকে ২০২০ সালে এশিয়ার দ্রুততম বর্ধনশীল অর্থনীতি হিসাবে চিহ্নিত করেছিলেন। তাদের পূর্বাভাসও ভুল হল।

গত বছরের দ্বিতীয়ার্ধে ক্রমবর্ধমান রফতানি, বিশেষত সেমিকন্ডাক্টর তৈরি করা ও বিক্রি, তাইওয়ানের অর্থনীতিকে মহামারীর প্রভাব থেকে উত্তরণে সহায়তা করেছে।

তাইওয়ানের জিডিপি বৃদ্ধি ২০২১ সালে ১.২ পয়েন্ট বেড়ে ৫.২% তে পৌঁছাবে বলে অর্থনীতিবিদরা পূর্বাভাস দিয়েছেন। চীনের চোখে চোখ রেখে ক্ষুদ্র রাষ্ট্রটির এই লড়াইকে কুর্ণিশ জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞ মহল।