শ্রীপর্ণা বন্দ্যোপাধ্যায়
টুম্পা, তোমার দুটো চোখে ক্ষুধা,
গ্রামের সরল মেয়ে,
টুম্পা তুমি দেখতে চাইছ
কলকাতা চোখ চেয়ে।
তুমি তো জেনেছ অভাবীকুলের
পতাকার রং লাল,
দেখতে পাওনি সবুজ কুমীরে
ভরে আছে কত খাল।
কোথায় যাচ্ছ একমুঠো খেতে
ঐ ছেলেটির সাথে?
তুমি নিশ্চিত বাড়িতে ফিরতে
পারবে আবার রাতে?
বেহাত হবে না ভাইজানেদের
এর তার হাত ঘুরে,
সেখান থেকেও হারিয়ে যাবে না,
পশ্চিমে আরও দূরে?
তুমি তো এসেছ তরুণ রক্তে
কত না উন্মাদনা,
বিপ্লব হবে, তুমি খেতে পাবে,
সাম্যের বন্দনা।
স্বর্গের পথ ওদের জন্য,
তোমার জন্য ক্ষয়;
শান্তির দূত দাবি যার মুখে,
বুকে গণিমত রয়।
বিপ্লব মানে জেহাদ জেনেছ–
আপোশহীনের যুদ্ধ,
জেহাদের মানে রক্ত পাতের
পরে করা কারা রুদ্ধ।
কালো আবরণে সবকিছু ঢেকে
কোমল চামড়াখানি–
তুমি নিশ্চিত তীক্ষ্ম ছুরিতে
হবে না অঙ্গহানি?
ধর্মদ্রোহী ধর্মোন্মাদ
একসাথে বেশ চলে;
তুমি কি ভেবেছ সেই পথে হেঁটে
যেতে পারো রসাতলে?
তুমি ভাই বলে ভাবতেই পারো,
ভাইজান কয় কারে?
পৌরুষ নিয়ে নিজের ভগ্নী —
তাকেও যে ভোগ করে।
টুম্পা তোমার ব্রিগেডের ভিড়
যদি হয়ে থাকে দেখা,
পতাকাধারীর হাতটা ছাড়িয়ে
ফিরে এসো একা একা।