মার্কিন ইন্টেল রিপোর্ট, “পাকিস্তান ‘বেসুরো গাইলে’ মোদির ভারত সেনা নামাবে”!

0
863

বঙ্গদেশ ডেস্ক – মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাকে উদ্ধৃত করে মার্কিন কংগ্রেসের রিপোর্টে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ভারত অতীতের চেয়ে অনেক বেশি আক্রমণাত্মক হয়ে উঠেছে। পাকিস্তান থেকে উদ্ভূত উস্কানিতে ভারতের সামরিক শক্তি ব্যবহার করার সম্ভাবনা অনেক বেশি।

‘ডিরেক্টর অফ ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স’ বা ‘ডিএনআই, মার্কিন শক্তির উপরে ‘থ্রেট’ মূল্যায়নকারী একটি বার্ষিক রিপোর্ট মার্কিন কংগ্রেসের কাছে উপস্থাপন করেছে। উভয় দেশের মধ্যে সরাসরি যুদ্ধের সম্ভাবনাকে নাকচ করে দেওয়া হয়েছে। তবে উল্লেখ করা হয়েছে যে দু’দেশের মধ্যে সংকট আরও তীব্র হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

ভারত একটি স্বাভাবিক প্রতিবেশী সুলভ সম্পর্কই চায়। তবে যতক্ষণ পাকিস্তান সন্ত্রাস, বৈরিতা ও হিংসা মুক্ত পরিবেশ তৈরি না করছে ততক্ষণ পর্যন্ত একতরফা বন্ধুত্ব স্থাপনের কোন ইচ্ছে নয়াদিল্লীর নেই।

উক্ত প্রতিবেদনে জোর দিয়ে বলা হয়েছে, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ভারতের সামরিক বাহিনী অতীতের তুলনায় অনেক বেশি সক্রিয়। কাশ্মীরে হিংসা, অশান্তি বা ভারতে জঙ্গীদের আক্রমণ সম্ভাব্য ‘ফ্ল্যাশপয়েন্ট’ হতে পারে। পাকিস্তানি উস্কানির প্রতিক্রিয়া বা তীব্র উত্তেজনা, দুই পারমাণবিক অস্ত্র সম্পন্ন প্রতিবেশীর মধ্যে দ্বন্দ্বের ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলবে।”

২০১৯ সালের আগস্ট মাসে ভারত, জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার করে নিলে এগুলিকে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত করা হয়। এরপর থেকেই ভারত ও পাকিস্তানের একে অপরের রাজধানীতে কোনো হাই কমিশনার নেই।

ডিএনআইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আফগানিস্তান, ইরাক এবং সিরিয়ায় লড়াইয়ের সরাসরি প্রভাব মার্কিন বাহিনীর উপর রয়েছে। তবে পারমাণবিক অস্ত্রধারী ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি সমগ্র বিশ্বের জন্য উদ্বেগের বিষয়। তবে আমেরিকাও এখন মানছে যে এই ভারত নতুন ভারত, যারা প্রয়োজন পড়লে যুদ্ধ করতে বা শত্রুর ঘরে ঢুকে মারতেও পিছুপা হবে না।