বঙ্গদেশ ডেস্ক: ইসলামিক বাংলাদেশে আবারও হিন্দু নাবালিকা অপহরণ ও জোরপূর্বক ধর্মান্তরিত করে বিয়ে করার ঘটনা সামনে এসেছে। ঘটনাস্থল সাতক্ষীরা। এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার নূরনগর আশালতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শামীম আহমেদ৷ ইতিমধ্যেই তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাকে আটক করার সময়ে ভুক্তভোগী হিন্দু নাবালিকাকেও উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত শুক্রবার খুলনায় বসবাসরত এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে শামীম আহমেদকে গ্রেফতার করা হয়৷
২০০৪ সালের পয়লা ডিসেম্বরে জন্ম ভুক্তভোগী হিন্দু নাবালিকাটির। স্থানীয় এক হিন্দু মুদি ব্যবসায়ীর কন্যা সে। তিনি জানান ২০১৯ সালে তার কন্যা মাধ্যমিক পাশ করে কার্টুনিয়া রাজবাড়ী কলেজে একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি হয়। অভিযুক্ত শামীম আহমেদের প্রতিবেশী আফসার মাষ্টারের কাছে মেয়েটি পড়তে যেতো। ওই সময়ে শামীমের টার্গেটে পড়ে এই হিন্দু নাবালিকা। তাকে রাস্তাঘাটে নিয়মিত উত্যক্ত করা শুরু করে শামীম।
গত ২ এপ্রিল পড়তে যাওয়ার উদ্দেশ্যে সে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি৷ দুপুর গড়িয়ে বিকেল হয়ে যাওয়ায় মেয়েটির খোঁজ করা শুরু হয়। তাকে খুঁজে না পেয়ে থানায় অভিযোগ করা হয়। এক পর্যায়ে ফেসবুকে মেয়েটির ধর্মান্তরিত ও বিয়ে সংক্রান্ত একটি স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করার ছবি দেখতে পেয়ে স্থানীয় প্রতিবেশীরা মেয়েটির পিতাকে অবগত করে। সেদিনই শামীম আহমেদের বিরুদ্ধে অপহরণ ও জোরপূর্বক ধর্মান্তরিতকরণ সংক্রান্ত একটি মামলা দায়ের করে মেয়েটির পরিবার।
ঘটনা প্রকাশিত হলে এই ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধন এবং বিক্ষোভ সমাবেশ করে স্থানীয় হিন্দুরা। এরপরেই চাপে পড়ে ব্যবস্থা নেওয়া শুরু করে প্রশাসন। ইতিমধ্যে শামীম আহমেদকে চাকরি থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়াও স্থায়ী বহিষ্কার কেন করা হবে না, এই সংক্রান্ত একটি নোটিশও জারি করা হয়েছে। শামীম এর পূর্বে তিনটি বিয়ে করেছে। মেয়েটিকে উদ্ধার করে মেডিকেল পরীক্ষা করা এবং জবানবন্দির নেওয়ার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।