২১ মানে উন্নয়নের বাঁচার লড়াই

0
638

উপোষ-থিত আমাদের সভাপতি সুব্বোতো বসকী (মাইরি সভাপতিও যে আছে জানা যেতনা না বললে), ১৫০০ কেজির খোকা (এতবার পোঁদ থুড়ি পদ পেয়েছেন যে এখন কোন পদে আছেন সেটা নিয়ে কনফিউশান আছে তাই পোঁদ থুড়ি পদ উল্লেখ হয়নি), আমার এখানে উপোষ-থিত আছে সান্টাদা (আবার অনেকদিন পরে এণ্টোনায় দাঁড়কাক বসিয়াছে), আমার সমস্ত চলচিত্ত জগতের একেবারে দেবিমিমি থেকে শুরু করে সকল ঝিংকু মামনিরা। সক্কলে। একগুচ্ছ ফিল্মস্টারকে শি-কান্ত ঘাড় ধরে তুলে এনেছে। আমার সমগ্র গর্ভ এরা সকলে। আমি সব ঝিংকু মামনিদের নাম বলে ডেকে ডেকে আপনাদের সামনে ফ্যাশান প্যারেড করাতে পারলে খুশী হতাম। কিন্তু যেহেতু ভাগাড়ের বিরিয়ানি তাই বেশী দেরি করলে ঠাণ্ডা হয়ে গেলে পচা গন্ধ বেরোবে তখন খেতে ভালো লাগবেনা। না না হুড়োহুড়ি করবেন না। ভাগাড়ের লোকেদের কালকেই জামিন দিয়ে দিয়েছি। কাজেই মাংসের অভাব হবেনা। আমি এখানে কীরা জগতের একঝাঁক উন্নয়নের সৈনিককে দেখতে পাচ্ছি। ওরা রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকবে যাতে কেউ বিরিয়ানি চুরি করতে না পারে। কাজেই একটু লম্বা ভাষণ দেব, একটু ধৈর্য ধরে শুনবেন।

এখানে খুব বিষ্টি পরছে। তাই আমি পুরুলিয়ার শহীদ ত্রিলোচন মাহাতো, দুলাল কুমার, জগন্নাথ টুডু থেকে শুরু করে বাঁকুড়ার শহীদ অজিত মুর্মু থেকে শুরু করে, রানীগঞ্জের শহীদ মহেশ মন্ডল থেকে শুরু করে, বসিরহাটের শহীদ কার্তিক ঘোষ কাউকে দেখতে পাচ্ছিনা।

রাস্তায় আসতে আসতে দেখলাম বিশ ত্রিশ লাখ লোক রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছে। আজকে কেষ্টা মশারি খাটায়নি তবুও তারা আসতে চাইছেনা। এখানে ওখানে দাঁড়িয়ে সময় নষ্ট করছে। তাই আমাকে বাদ্দো হয়েই তাদের ফেলে একলা আসতে হোল। যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে, তবে একলা চলো রে।

আপনারা মনে রাখবেন প্রবল ধর্ষণের মধ্যেও চুলের মুঠি ধরে আমরা যেভাবে নারী সুরক্ষার কথা শোনাতে পারি আপনাদের মনে রাখবেন ভারতবর্ষের আর কোন রাজনৈতিক দলের সে ক্ষমতা নেই।

আমাদের উন্নয়ন বাহিনী ঝড় জল বৃষ্টি উপেক্ষা করে লড়ে যায়। তারা প্রলয়ের মতো তছনছ করে দেয় সবকিছু, টর্ণেডোর মতো আছড়ে পরে কেউ উন্নয়নে সামিল না হতে চাইলে। আমরা বাঁধ ভেঙে দিই। অত্যাচারের বাঁধ ভেঙে দিই। অত্যাচারের নতুন নতুন উদাহরণ তৈরি করি কলেজ থেকে কলেজে, গ্রাম থেকে গ্রামে। বাঁধ ভেঙে দাও, বাঁধ ভেঙে দাও। অত্যাচারের বাঁধ ভেঙে দেওয়ার কথা আমরা বলি।

আমরা মাম্মাটিম্মানুষের দল। আমরা সবাইকে দলিয়ে আমাদের উন্নয়নের নজির দিকে দিকে ছড়িয়ে দিয়েছি। আমাদের উন্নয়নের হাত থেকে কেউ বাদ যায়নি। সবাইকেই আমরা সমানভাবে কেলিয়েছি থুড়ি দিয়েছি। এমনকি সময়ে সময়ে এক উন্নয়ন আরেক উন্নয়নকে কেলিয়েছে থুড়ি বন্ধুত্বের হাত দিয়েছে। উন্নয়ন বাহিনীর জন্য আমরা এবারে একটা ট্রেন ভাড়াও করতে পারিনি। আসলে ডিমনিটাইজেশানের পর থেকেই একটু টাকা পয়সার টানাটানি আছে। আর সুদীপ্তের অবস্থা দেখে এখন আর কেউ ছবিও কেনেনা। তবে আমাদের উন্নয়ন এস্মার্ট উন্নয়ন। তারা গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি, জিলা পরিষদের পরে ট্রেনের সিটের দখলও সফলভাবে নিয়েছে। এত সফলতা এমনি এমনি আসেনা। এর জন্য অন্তর থেকে উন্নয়নে বিশ্বাসী হতে হয়। আমরা বিজেপি পার্টি নই। আমরা সবকা সাথ সবকা বিকাশ বলিনা। আমরা বলি আগে নিজের উন্নয়ন করো, তুমি উন্নত হলেই তোমার ভাই, দাদা, বউ, বর, বন্ধু, বান্ধবী সবাই উন্নত হবে। আচ্ছা বান্ধবীর কথায় মনে পরে গেল, কানন কোথায়? এই যে কানন, আজকে বর্ষার দিন, জানি তোমার মন উচাটন। কিন্তু সভার শেষ অব্দি থেকে সব ব্যবস্থা দেখে তবেই যাবে। আমি জানি তোমার হৃদয়ে ব্যথা উন্নয়নের কারণেই হয়েছে। কিন্তু চিন্তা করোনা, জেলে যাওয়া আর জলে ফেলে দেওয়া দুটোই একই ব্যাপার। আর তোমার জলে পরার অভিজ্ঞতা আগেও আছে।

যাইহোক আজকে ২১শের অঙ্গীকার কি? কি অঙ্গীকার? আমাদের অঙ্গীকার ২০১৯ এর লোকসভা ভোটে বাংলার মা, বাংলার মাটি, বাংলার আদিবাসী, বাংলার ত্রিলোচন, বাংলার অজিত মুর্মু, বাংলার বাঙালি সবাইকে উন্নয়নের গুঁতো দিয়ে উপরে তুলে দিতে হবে। খালি আরবের মিঞা থুড়ি বাংলার সংখ্যাঘুঘুদের রাখতে হবে। কাল পার্লামেন্টে যা হয়েছে তারপরে আর ভারতের পোদানমন্ত্রী হওয়ার আশা বিশেষ দেখছিনা। তাই ১৯শে জানুয়ারী ব্রিগেডে যে সভা হবে সেখান থেকে উন্নয়ন বাহিনী দিকে দিকে বেরিয়ে পরবে বাংলাস্তানের লক্ষ্যে। রাস্তায় রাস্তায় উন্নয়নের মশারি খাটিয়ে দিতে হবে ঐদিন থেকে দ্বীনের নাম স্মরন করে। আমরা চেয়ারকে কেয়ার করিনা, তাই আমরা উন্নয়ন হয়ে রাস্তায় রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকব।

আজকে এখানে দাঁড়িয়ে আমাদের আগামী কয়েকটা কর্মসূচী বলে দিই। বাচ্ছা নোট করে নে। প্রচণ্ড ধর্ষণ থুড়ি বর্ষণ। শান্তিবাহিনী শান্তিপূর্ণ ভাবে এলাকায় ফিরে যাবে। সেখানে প্রচণ্ড ধর্ষণে থুড়ি বর্ষণে মানুষ অসুবিধায় পরলে সেসব চাপা দিতে হবে।সরকার সব সহযোগিতা করবে। আমরা তিরিশ লক্ষ সংখ্যাঘুঘুকে রিলিফ দিয়েছি আরও দেব। যদি কোথাও কেউ ধর্ষণের জন্য থুড়ি বর্ষণের জন্য রেগে যায় তাহলে তাকে ঠাণ্ডা করবেন। সেটাকে ছোট ঘটনা বানিয়ে দেবেন। সরকার আপনাদের সাথে আছে।

মনে রাখবেন আগামী জুলাই মাসে আমরা ঐ মেদিনীপুরে মশারি খাটিয়ে দেখিয়ে দেব। তার আগে বীরভূমে কেষ্টারা অক্সিজেন সাপ্লাই দেবে। অগাস্ট মাসে আমাদের কর্মসূচী রোহিঙ্গা লাও, বাংলাস্তান বানাও। আগামী দিনে আমাদের রোহিঙ্গা ভাইদের বাংলার মাটিতে বসে যাতে লালকেল্লার ভাষণ শুনতে না হয় তাই আমাদের লক্ষ্য বাংলাস্তান বানাও। ২০১৯এর পরে বাংলাস্তান গড়ার লক্ষ্যে শপথ নেবেন। এরপরে আমরা ভারত ছাড়ো আন্দোলন করব। মনে রাখবেন ওপারে আমাদের সংখ্যাঘুঘু ভাইরা আমাদের অপেক্ষায় আছে। তিস্তা, গঙ্গা সবই আমাদের সংখ্যাঘুঘু ভাইদের অধিকার, তাদের সেই অধিকার আমাদের পাইয়ে দিতে হবে। এরপরে আমরা আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস পালন করব। সেদিন চট্টগ্রামে আমাদের জামাতি ভাইরা আর এখানে আমরা আদিবাসী দিবস পালন করব। সেদিন উন্নয়নরা খালি আদিবাসীদের দেখে নেবে। বিশেষত ঝাড়গ্রাম আর পুরুলিয়ায়।তার আগে ১৪ই অগাস্ট আমরা জিন্না সাহেবকে সম্মান দিয়ে স্বাধীনতা দিবস পালন করব। পাকিস্তান আর বাংলাদেশের বিখ্যাত শিল্পীদের সাথে আমার শিল্পীরা কালচারাল পোগ্রাম করবে। এরপরে ২৮শে অগাস্ট ছাত্র নেতারা তোলার হিসাব দেবে গান্ধীজির পা ছুয়ে শপথ নিয়ে। এরপরে সিক্ষক দিবস। সেদিন উন্নয়নের সিক্ষকরা পাড়ায় পাড়ায় কলেজে কলেজে স্কুলে স্কুলে সিক্ষকদের সন্মান জানাবেন তাদের হাতে জগ আর হেলমেট তুলে দিয়ে। সেদিন আমাদের পক্ষ থেকে তাদের সবার নামে লাইফ ইন্সিওরেন্স করা হবে। এই ভাবে উন্নয়ন এগিয়ে যেতে থাকবে।

আমাদের নামে কুৎসা করা হচ্ছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের রাশ আমার হাতে থাকেনা। ওটা লোকাল উন্নয়নরা দেখে। তারা সবসময় আমার কথা শোনেনা। এমনকি অনেক জায়গায় উন্নয়ন ঠিক মতো কমপ্ল্যান খায়নি বলে বাড়াবাড়ি করতে পারেনি ঠিক করে। কই আমি তো কমপ্ল্যান নিয়ে কাউকে কমপ্লেন করিনি। কাজেই নিজের মাথা নিজেকে বাঁচাতে হবে। যারা মাথা বাঁচাতে পারেনা, তারা উন্নয়নে চলে আসুক, না এলে আমার কিছু বলার নেই। কাজেই মাথা বাঁচাতে হলে উন্নয়নে সামিল হতে হবে।

ওরা এখন ত্রিপুরার কথা বলছে। আমার ত্রিপুরা নিয়ে একটা দুঃখ আছে। আমি ওদের জন্য ফিশ ফ্রাই ভেজে রেখেছিলাম, কিন্তু ফিশ ফ্রাই ঠাণ্ডা হয়ে গেল। ওদের আমি বারবার ডাকছি ফিশ ফ্রাই খেতে কিন্তু ওরা এখনও পাস্তা খেতেই চাইছে। ওরা যদি পাস্তা খেয়ে নেয় তাহলে আমি কি না খেয়ে মরব? অতএব পাস্তার প্লেট আমাদের চাই চাই চাই।

প্রধানমন্ত্রী বলছেন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে হবে। তা আমি কি এখন সিদেকুল্লা সাহেবকে বলব আপনি মুখ খুলবেননা? আমি কি নিজের পায়ে নিজে কুড়ুল মারব? আমি কি কেষ্টাকে বলব পুলিশকে বোমা মারবিনা? আমি কি পঞ্চায়েতে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে হারব? আপনারাই বলুন আমি কি সুইসাইড করব এবারে? মিষ্টির দোকানে এখনও টাকা বাকী আছে। এরপরে কি আমি আবার ছবি আকা শুরু করব? তাহলে মানুষ বলুক, আমি ছবি আকলে কি তাদের ভালো হবে? আমি সুদীপ্ত লেলিয়ে দিলে কি তাদের ভালো হবে? কে ডি সিং কিন্তু এখনও বাইরে আছে, মনে রাখবেন।

ওরা বলছে আমরা নাকি কোন কাজ করিনা। আজকে আপনারা বীরভূমের রাস্তায় পঞ্চায়েত ভোটের সময় কন্যাশ্রী দেখেছেন, কোন্ননগরে পুরসভার গেস্ট হাউসে রূপশ্রী দেখেছেন। আমার সংখ্যাঘুঘু ভাইবোনেরা প্রায় ৩৫% তাদের সুবিধার জন্য আমরা রোহিঙ্গাশ্রী চালু করেছি। আমাদের ছেলেদের উন্নয়ন খেদিয়ে রাজ্য পার করে দিয়েছে। উন্নয়নের মার, বাংলার সীমানা পার। ফলে এখন আমাদের রাজ্যে বেকার চল্লিশ পার্সেন্ট কমে গেছে। বেকারি শিল্প অবশ্য বেড়েছে। ঐ যে আপনারা চায়ের দোকানে বিস্কুট খান, ওগুলো বেকারি। আর শুধু ছেলেদের নয় আমরা মেয়েদেরও চালান করায় সবার আগে এগিয়ে গেছি। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য্য বলেছিলেন ভিক্ষাং দেহি। ওদের পার্টি সেটা করতে পারেনি। কিন্তু আমরা করে দেখিয়েছি। আজ আমাদের রাজ্য সব থেকে বেশী মানুষ বলছে ভিক্ষাং দেহি। মনে রাখবেন আমরাই করব, আমরাই লড়ব, আমরাই গড়ব বাংলাস্তান। আর ওরা বলছে আমরা কিচ্ছু করতে পারিনা। কেন আমরা কলেজে কলেজশ্রী দেখাইনি, আমরা কি ওদের পুরুলিয়ায় দেখাই নি উন্নয়ন কি সুন্দর গাছের ডাল বেয়ে, বিদ্যুতের খুটি বেয়ে উঠে ঝুলছে? আমরা কি ওদের রায়গঞ্জে দেখাইনি উন্নয়ন সব কিছু কি সুন্দর পিস পিস করে ভাগ করে দিতে পারে? ওরা বলছে আমরা নাকি ২০২৪-এর আগে আমরা ওদের কিচ্ছু করতে পারবনা। আগে তো ২০১৯ অব্দি আমাদের ধরে রাখো বন্ধু। আমি থাকতে বাংলাস্তান হওয়া আটকানো মুশকিল হি নেহী না মুমকিন হ্যায়।

১০০ দিনের কাজে আমরা এক নাম্বার। এখানে উন্নয়ন ১০০ দিনে পঞ্চায়েত নামিয়ে দিয়েছে। চিকিৎসায় আমরা এক নম্বর। উন্নয়ন হাসপাতালে হাসপাতালে রুগী সাপ্লাই দিয়ে দিয়ে ডাক্তারদের সুবিধা করে দিয়েছে। এমনকি রুগী কম পরলে ডাক্তারদেরই রুগী বানিয়ে দিয়েছে। বাংলার ছাত্র যৌবন আজ আমাদের গর্ব। তারা অল্প বয়স থেকেই যে সম্পদ উপার্জন করছে তা আমাদের গর্ব।

দেখুন আমরা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে বিশ্বাস করি। দেখুন ঢাকা কালীবাড়ি, সেখানে যেতে একদিন আমাদের ভিসা লাগতনা, এখন লাগে। আমি কথা দিচ্ছি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির জন্য, আমার সংখ্যাঘুঘু ভাইদের জন্য একদিন কালীঘাটে আসতেও আপনাদের ভিসা লাগবে। প্রত্যেকটা রেলস্টেশানের নাম বদলে দেওয়া হচ্ছে। ভয় হয় নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে যে রেল স্টেশান সেই স্টেশানের নামও পালটে দিয়ে অতীশ দীপংকর শ্রীজ্ঞান করে দিয়ে আমার সংখ্যাঘুঘু ভাইদের মনে কষ্ট দেওয়ার চক্রান্ত হচ্ছে। আমি ওদের বারেবারে বার্তা দিয়েছি। আমি বলেছি মোদীজি ভালো, অমিত শাহজি খারাপ। কিন্তু মোদীজি আমার কথা শোনেননি, তাই আমি বলেছি শত্রুঘ্ন জি ভালো, কিন্তু ওরা শত্রুঘ্ন জিকেই খামোশ করিয়ে দিল। এখানে চন্দনদা এসেছেন, উনি এখন উন্নয়নে সামিল হয়েছেন। উনি ভালো। মুকুল দুষ্টু লোক। মনে রাখবেন যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে, তবে উন্নয়নে সামিল হওরে। তাহলে সারদা, নারদা যাইহোক আপনার টাকা সুরক্ষিত, আপনার ছেলে মেয়ের কলেজে ভর্তি ফ্রী ফ্রী ফ্রী। তবে কলেজে ভর্তিটাও একটা লোকাল বিষয় তাই আমি সব সময় ছোট ছোট ছেলেদের দুষ্টূমি কন্ট্রোল করতে পারিনা। কারন গুণ্ডা কন্ট্রোলের কাজটাও করতে হয়।

গুন্ডা কন্ট্রোলের কথায় মনে পরল, এখানে কেষ্টা বসে আছে, ভালো ছেলে, কিন্তু ওরা মাথায় অক্সিজেন একটু কম যায়, তাই আপনারা মাঝে মাঝে ওকে ফু দিয়ে বাতাস দেবেন।

ওরা আমাদের শান্তি দিচ্ছেনা। ওদের জন্য তাপসকে জেলে গিয়ে ওজন কমাতে হয়েছে, সুদীপদাকে ঝড়ঝড়ে হতে হয়েছে, মদনকে বাংলা নিয়েই ব্যস্ত থাকতে হচ্ছে। আজকে ওদের জ্বালায় আমাদের টাকা আমরা খরচা করতে পারছিনা, আমাদের সিঙ্গাপুর, হংকং–এ হোটেল কিনতে হয়েছে, আমাকে ছবি আকা বন্ধ করতে হয়েছে। নোট কেলেঙ্কারি বড় কেলেঙ্কারি। আজ পর্যন্ত কেউ জানেনা আমাকে কত ক্ষতি স্বীকার করতে হয়েছে, অভিষেকের কত ক্ষতি হয়েছে।

আমি বামপন্থীদের বলব আমার এটাই আমাদের উন্নততর বামফ্রন্ট, তাই আপনারা আসুন আমাদের হাতে ফিশফ্রাই খেয়ে যান।

মনে রাখবেন বিজেপি কালকে ভোটের আগে ৩১৫ ছিল, কালকে ওরা ৩২৬ হয়েছে। কিন্তু মনে রাখবেন ওরা কাল শিবসেনাকে পাশে পায়নি। শিবসেনা এখন আমাদের পাশে আছে। তাই মনে রাখবেন আগামী দিনে আমাদের বিজেপির বিরুদ্ধে লড়তে হবে। আমাদের রোহিঙ্গা ভাইদের কথা ভেবে, আমাদের সংখ্যাঘুঘু ভাইদের কথা ভেবে, আমাদের উন্নয়নের কথা ভেবে।

আর না লড়তে পারলে, মনে রাখবেন ২১ মানে শেষবার কামিয়ে নেওয়া, ২১ মানে উন্নয়নের বাঁচার লড়াই, ২১ মানে রোহিঙ্গা ঢোকা বন্ধ হয়ে যাওয়া, ২১ মানে ওপার থেকে কাঁটাতারের খোঁচা খেয়ে আসা আমার সংখ্যাঘুঘু ভাইদের আবার তাড়া খেয়ে ফেরত যাওয়ার পালা। ২১ মানে আবার ইডি আসবে, আবার সিবিআই আসবে, ২১ মানে আমার আবার ছবি আকা, ২১ মানে উন্নয়নের ছাত্রদের রোজগার বন্ধ হয়ে যাওয়া, ২১ মানে আমাদের উন্নয়নের মশারি ফুটো হয়ে মশার কামড় খাওয়া। একটা কথা মনে রাখবেন ডেঙ্গু আগের বারেও হয়নি, এবারেও হবেনা।

তাই মনে রাখবেন ২১ মানে আমাদের বাঁচার লড়াই, ২১ মানে আমাদের হাসপাতালে না ঢোকার লড়াই। মনে রাখবেন ঝড় রুখব, প্রলয় রুখব, উন্নয়নকে গাছের ডালে তুলব, বাঁধের মাটিতে পুতে দেব। কিন্তু লড়াই ছাড়ব না। লড়াই লড়াই লড়াই চাই, লড়াই করে বাঁচতে চাই।

আমাকে অনেক দেনা শোধ করতে হয়। কিন্তু তারপরেও আমি ক্লাবগুলোকে টাকা দিই। এবারেও দেব। তাই আপনারা চপ ভাজতে থাকুন। মনে রাখবেন আমাদের উন্নয়ন কলেজে অফিসে স্কুলে হাসপাতালে সব জায়গায় আছে। অতএব আপনি যেখানেই ঢুকতে চাইবেন সেখানেই মশারি টাঙ্গানো থাকবে। তাই আপনারা মশারিতে ফুটো করার চেষ্টা না করে চপ ভাজুন।

আজকে আমি প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি তারা আমাদের পঞ্চায়েতে নির্বিঘ্নে উন্নয়ন করার সুযোগ দিয়েছেন। আজকে আমি প্রেস মিডিয়াকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি তারা বড় বড় ঘটনাকে ছোট করে দিয়েছেন। আমার বুদ্ধিজীবিদের ধন্যবাদ জানাই তারা বুদ্ধি ব্যাঙ্কে জমা রেখে আমাকে তার সুদ দিয়েছেন।সুবোধদা আপনি চিন্তা করবেননা। আমি দেখব যাতে আপনার বুদ্ধি ব্যাংক থেকে চুরি না হয়। আমি ধন্যবাদ জানাই ঋতকে, ও এখানে চেটে চেটে এখানে এসেছে বলে।

নিন এবার সবাই মিলে তালি বাজিয়ে বাজিয়ে বলুন,

আমরা কারা,
উন্নয়ন।
আমরা কারা
উন্নয়ন।

আমাদের প্রতীক
মশারি।
আমাদের প্রতীক
মশারি।

আমরা কাদের,
সংখ্যাঘুঘুর।
আমরা কাদের,
সংখ্যাঘুঘুর।

আমাদে ভাষা,
উর্দু আরবী।
আমাদে ভাষা,
উর্দু আরবী।

আমাদের পরিচয়,
সারদা-নারদা।
আমাদের পরিচয়
সারদা-নারদা।

আমাদের পেছনে কারা,
রোহিঙ্গারা
আমাদের পেছনে কারা,
রোহিঙ্গারা।

সামনে কারা,
কেষ্ট দাঁড়া
সামনে কারা,
কেষ্ট দাঁড়া।

লড়ছে কারা,
উন্নয়ন।
লড়ছে কারা,

উন্নয়ন।
কি টাঙাবে,
মশারি।
কি টাঙাবে,
মশারি।

ঝুলবে কারা,
ত্রিলোচনরা,
ঝুলবে কারা,
দুলালরা।

রাতের খিল্লী,
বন্ধ হউক।
রাতের খিল্লী,
বন্ধ হউক।

না হলে,
ছেলে ঢুকবে ঘরে।
না হলে,
ছেলে ঢুকবে ঘরে।

সম্প্রীতি মানে,
ধূলাগড়।
সম্প্রীতি মানে,
ধূলাগড়।

একই বৃন্তে দুটি কুসুম মানে,
বসিরহাট বাদুরিয়া।
একই বৃন্তে দুটি কুসুম মানে,
বসিরহাট বাদুরিয়া।

বাংলাস্তান গড়বে,
জামাত উল।
বাংলাস্তান গড়বে,
জামাত উল।

আজ হার্মাদেরা,
উন্নয়ন।
আজ মণিরুলেরা,
উন্নয়ন।
কলেজে টাকা নেবে কারা,
উন্নয়ন।
নারী পাচার করবে কারা,
উন্নয়ন।
এই সংখ্যাঘুঘুরাও,
উন্নয়ন।
এই হিন্দুরাও

কি হোল থেমে গেলে কেন। আচ্ছা আচ্ছা ঠিক আছে। সবাই এক এক করে বেরিয়ে যাও। ওখানে কওসর এসে গেছে ভাগাড় বিরিয়ানি নিয়ে। ওর কাছ থেকে সবাই প্যাকেট নিয়ে নাও যে যার। মনে রাখবে ও অনেকদিন জেলে ছিল। কালই ছাড়া পেয়েছে, তাই ওকে বেশী খাটাবেনা।

ফীচার : Santabanta.com; ছবি প্রতীকী। এই ছবি থেকে কৌতুকের লক্ষ্য এবং এই লেখা থেকে বানান খুঁজবেন না।