ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশ সফরের পর ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দাঙ্গা- অভিবাসী বাঙালী হিন্দুদের তরফ থেকে একটি বার্তা

0
866

বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে এবং দেশের প্রতিষ্ঠাতা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম দিবস উপলক্ষে মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা, ভুটান ও নেপালের নের্তৃবর্গকে সম্মানের সহিত আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দুই দিনের সফরের জন্য বাংলাদেশ জুড়ে অনেক হিংস্র প্রতিবাদ লক্ষ্য করা যায়। রিউটার্সের প্রতিবেদন অনুয়ায়ী, ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের প্রতিবেশী বাংলাদেশের রাজধানী শহর ঢাকা ও ব্রাহ্মণবেড়িয়া জেলায় প্রতিবাদের নামে হিংস্রতা এবং গুণ্ডামি প্রত্যক্ষ করা গিয়েছে। বিভিন্ন ভাবে এই ঘটনা ঘটেছে; যাইহোক, এই প্রতিবেদনে এইসব যে প্রতিবাদের জন্য বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেগুলিকে আমাদের দৃষ্টিকোণ দিয়ে আরো নিবিড় ভাবে পর্যালোচনা করব।

শিরিন হকের সাক্ষাৎকার অনুযায়ী, বাংলাদেশ ভিত্তিক নারীবাদী সংগঠন ‘নারীপক্ষ’ বিবিসি কে বলেছে; “প্রতিবাদীরা ভারত বা ভারতীয়দের বিপক্ষে ছিলেন না। তাঁরা নরেন্দ্র মোদিকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য অত্যন্ত ক্ষুব্ধ ছিলেন কারণ তিনি অত্যন্ত বিতর্কিত এবং তিনি তাঁর মুসলিম-বিরোধী কার্যকলাপগুলির জন্য সুপরিচিত।” গতবছরের  নাগরিক সংশোধন আইন (২০১৯) যা আসলে নাগরিক আইনের (১৯৫৫) সংশোধিত রূপ, এটি হিন্দু, বৌদ্ধ,  শিখ,  পাসী,  জৈন এবং খ্রিস্টান সংখ্যালঘু, যারা ২০১৪ সালের ডিসেম্বরের শেষের আগে আফগানিস্তান, বাংলাদেশ, পাকিস্তান থেকে ধর্মীয় শাস্তির ভয়ে পালিয়ে এসেছিল, তাদের ভারতের নাগরিকত্ব প্রদান করে- এটি আপত্তি সৃষ্টি করে। এই আইন ঢাকাকেও উত্তেজিত করে; একই সময় অনেক বাংলাদেশের মন্ত্রীর নিয়মমাফিক সফরও বাতিল হয়ে গিয়েছিল। বাংলাদেশের সাংসদ শিরিন শর্মিন চৌধুরীর ১৮ সদস্যের প্রতিনিধিবর্গ কে নিয়ে নয়াদিল্লিতে আসার কথা ছিল। এই সফরটিকে ডিসেম্বর মাসে নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিলটি ভারতীয় সংসদের উভয় কক্ষে পাশ হওয়ার পরপরই অন্যান্য উচ্চস্তরে সরকারি সফর যেমন বিদেশমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের সফরের মতোই এটিকেও বাতিল করে দেওয়া হয়েছিল। সরকারিভাবে, ঢাকা বলতে থাকে যে তাদের মন্ত্রীদের সফর বাতিল করার সঙ্গে ভারতীয় সংসদের নাগরিক সংশোধনী আইনের কোনো সম্পর্ক নেই। যদিও উল্লেখ করা প্রয়োজন যে বিদেশমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন কেবল বাংলাদেশের হিন্দু সংখ্যালঘুরা অবদমিত এই অভিযোগ নস্যাৎ করেছেন তাই নয়, তিনি এও বলে চলেছেন যে এই আইনটি “সহনশীল ও ধর্মনিরপেক্ষ দেশ হিসেবে ভারতের ঐতিহাসিক স্থান”-কে খর্ব করে দেবে।

যখন প্রধানমন্ত্রী মোদী বাংলাদেশের একটি সরকারি সফরে গিয়েছিলেন বাংলাদেশের ৫০ তম বর্ষপূর্তি উদযাপন করার জন্য, চারিদিক থেকে প্রতিবাদ করা শুরু হয়। রিউটার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, একটি বাংলাদেশি মুসলিম সংগঠন হেফাজত-ই-ইসলামের সদস্যরা হিন্দুমন্দির, গাড়ী ও অন্যান্য জনগণের সম্পত্তির ওপর হামলা চালিয়েছে ২০২১ সালের ২৮শে মার্চ তারিখে। হেফাজতের আন্দোলনকারীরা ব্রাহ্মণবেড়িয়ার একটি অন্যতম বৃহত্তম হিন্দু মন্দির শ্রী শ্রী আনন্দময়ী কালী মন্দির তোলপাড় করেছে। দ্য ডেইলি স্টারের প্রতিবেদন অনুযায়ী, আনন্দময়ী কালীবাড়ি মন্দির উৎসব উদযাপন কমিটির সভাপতি শ্রী আশিস পাল বলেছেন: “আমরা দোল পূর্ণিমার জন্য প্রার্থনা করছিলাম, তখন ২০০-৩০০ জন সশস্ত্র মানুষ মন্দিরের দরজা দিয়ে ঢুকে পড়ে এবং আমাদের অনুষ্ঠানে বিঘ্ন ঘটায়, আমরা কালী মূর্তিটিকে রক্ষা করার চেষ্টা করেছিলাম, কিন্তু তারা আমাদের এক দিকে ঠেলে দেয় এবং মূর্তিটিকে ভাঙচুর করে”। মন্দিরের পুরোহিত জীবন চক্রবর্তী বলেছেন যে হামলাকারীরা ১০ মিনিটের মধ্যে সবকিছু ক্ষতিগ্রস্ত করে দেয়, অর্থ লুঠ করে এবং গহনা লুঠ করে। বাংলাদেশের অন্যান্য স্থানে হিন্দুদের অন্তিম সংস্কারের স্থান এবং মন্দির গুলির উপর আক্রমণ হয়েছে। সাংবাদিক আজিজুল শোঞ্চের প্রতিবেদন অনুযাযী ১৯৭১ মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান সেনাবাহিনীর দ্বারা  নির্যাতিত ব্রাক্ষ্মণবেড়িয়ার হিন্দু সংখ্যালঘু মন্ত্রী ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের স্মৃতিসৌধটি ভাঙচুর করে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছিল।

যদিও নারীপক্ষের শিরিন হক সহ বেশিরভাগ প্রতিবেদন প্রধানমন্ত্রী মোদি সরকারি সফর ও দাঙ্গাকে সম্পর্ক যুক্ত করার চেষ্টা করেছিল। বলা বাহুল্য, যে এই দাঙ্গাগুলি প্রকৃতপক্ষে মোদিবিরোধী ছিল না। যদি তাই হত, তবে হিন্দু মন্দির, হিন্দুদের অট্টালিকাগুলি ও স্বাধীনতা সংগ্রামীদের স্মৃতিসৌধগুলিকে কেন আক্রমণ করা হল, বিশেষত যখন হেফাজত-ই-ইসলামের নেতৃত্বধীন একটি গুণ্ডাবাহিনী ব্যাপকভাবে মোদির বাংলাদেশ সফরে আসার এক পক্ষকাল আগে সুনামগঞ্জে হিন্দুদের ওপর আক্রমণ করেছে? ডেরাই উপজেলাতে হেফাজত-ই-ইসলাম নেতা জুনাইদ বাবুনাগারি এবং মৌলানা মামুনুল হকের একটি অধিবেশনে মৌলানা মামুনুল হকের সমালোচনা করে নাওগাঁও-এর একটি হিন্দু তরুণের ফেসবুক পোস্ট দেয়ার ঘটনার বিরুদ্ধে তারা বক্তৃতা দেওয়ার পর সুনামগঞ্জে হিন্দুদের ওপর হিংস্র আক্রমণ শুরু হয়েছিল। মহঃ সিরাজুল ইসলামের প্রতিবেদন অনুযায়ী, হকের সর্মথকরা নাওগাঁও-তে একটি শোভাযাত্রা বের করে, যেখানে তারা প্রচার করে যে হিন্দু তরুণটি মুসলমানদের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করেছে। পরবর্তী দিনে, মুসলিম অধ্যুষিত গ্রামগুলির শত শত হেফাজত সদস্যরা হিন্দু অধ্যুষিত গ্রাম নাওগাঁও-তে হামলা চালান। তারা হিন্দুদের ঘরবাড়ি তোলপাড় করে এবং অধিবাসীরা গ্রাম ছেড়ে পালালে তাদের সব ধন সম্পদ লুট করে। এটি কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, বরং পূর্বতন পূর্ব পাকিস্তান এবং অধুনা বাংলাদেশে হিন্দু সংখ্যালঘুদের ওপর চলতে থাকা ধর্মীয় নিপীড়নের একটি অংশ মাত্র। বাংলাদেশি হিন্দুদের পরিকল্পিতভাবে হস্তান্তরিত করা হয়েছে, গণহত্যা করা হয়েছে এবং বাড়িঘর ও জমিজমা ত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়েছে।

ঐ দেশের ইতিহাসে ব্রাহ্মণবেড়িয়ার সাম্প্রতিক হামলাটি অন্যান্য হাজার হাজার ঘটনার মতোই একটি সামান্য ঘটনা ছিল। যাই হোক, এইবার রেডিওর নীরবতা ও হামলার তীব্র নিন্দার অভাব বহু অভিবাসী হিন্দুদের প্রভূত ক্ষতি সাধন করেছে। বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের বাইরে উভয় জায়গা থেকেই আমাদের দ্য স্টোরিস অফ বেঙ্গলী হিন্দুস অনেক বার্তা পেয়েছে, বিশেষত্ব তারা এই বিষয়ে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছে যে প্রথমবার তারা দেখছে যে কেউ আসল ঘটনাকে বিকুত না করে হিন্দুদের উপর ঘটে চলা আক্রমণকে নিয়ে কথা বলছে। বিভেদকরণের সর্বাধিক সাধারণ কৌশল হিসেবে অতীতে মানুষ দাবি করেছিলেন যে হিন্দুদের ওপর আক্রমণ একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছিল এবং পরবর্তীকালে যেসব ঘটনা ঘটেছিল তা অর্থনৈতিক কারণে ঘটেছিল। এইবার বিভেদকরণের নীতিতে দাবি করা হয় যে, হয় সাম্প্রতিক দেশব্যাপী আক্রমণগুলি, যাদের সঙ্গে ইসলামীয় সংগঠন গুলির ‘প্রতিবাদ’ রয়েছে, সেগুলি উপনিবেশবিরোধী সংগ্রাম, বা কে এইসব হামলা চালিয়েছে তা সম্পর্কে সন্দেহ প্রকাশ করা বা সম্পূর্ণ নাকোচ করা। এমনকি দক্ষিণ এশিয়ার কিছু গবেষকরা এই অবস্থান নিয়ে কথা বলেছেন। হিন্দুদের উপর ও তাদের ধর্মীয় স্থানের উপর আক্রমণগুলি আরেকটি নিদর্শন ছিল যে তাদের ধর্মীয় পরিচয়ের মাধ্যমে তাদের ভারতের পূর্ব সম্পর্ক আছে। তাদের বিরুদ্ধে হিংস্র জনতার আক্রমণের যাথার্থ্য দেওয়ার জন্য ইসলামবাহী ও তাদের সমর্থকেরা প্রায়ই এই পদ্ধতি অবলম্বন করতেন। বাংলাদেশ যখন পূর্ব পাকিস্তান ছিল, এটি সেই ১৯৭১ সালের আগের ঐতিহ্য। ব্রাহ্মণবেড়িয়ার শিকড়ের টান আছে এমন একজন অভিবাসী বাঙালি হিন্দু ও যার পরিবার দাঙ্গায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল, তার থেকে আমরা স্টোরিজ অফ বেঙ্গলী হিন্দুস হার্দিক অভিনন্দন পেয়েছি। আমরা তাকে একটি চিঠি লিখতে বলেছিলাম, যার আসল রূপটিই এখানে উদ্ধৃত করা হল:

“কয়েক দশক ধরে বাংলাদেশ হিন্দুদের গণহত্যা করা চলছে। উত্তর আমেরিকার অভিবাসীর সন্তান হওয়ার দরুণ,আমাদের বাড়িতে বাকি সদস্যদের উপর হামলার ভয়ে আমাদের বাবা মায়েরা আমাদের চুপ করিয়ে দিতেন। আমি জানিনা এই রকম একটি জায়গাকে আমি আদৌ বাড়ি বলতে পারবো কিনা। আমার বাংলাদেশের বাড়িটি ধুলিসাৎ করে দেওয়া হয়েছে কারণ এটি হিন্দু বাড়ি ছিল। আমার বাড়ির কাছে মন্দির ভাঙচুর করা হয়েছিল, সোনা ও অর্থ লুঠ করা হয়েছিল এবং মূর্তিগুলি ভেঙে ফেলা হয়েছিল। বাংলাদেশে হিন্দুদের প্রতি এই দুর্বিষহ ব্যবহার নতুন কিছু ছিল না। কিন্তু আশ্চর্যের ব্যাপার হল প্রত্যুত্তরে ক্রমাগত মানসিক নির্যাতন, অস্বীকার করা ও দোষারোপ করা। এই ঘৃণ্য অপরাধগুলি রোধ করার জন্য বা বন্ধ করার জন্য সরকার কোনো পরিকল্পনা করেনি। বাংলাদেশের সংখ্যালঘু জনসংখ্যার জন্য গণমাধ্যম ও কোনো কভারেজ দিচ্ছে না বা স্বীকার করছে না। ব্রাহ্মণবেড়িয়া হলো এমন একটি শহর, যেখানে অনেক প্রতিভা রয়েছে এবং এই একই শহরে বাদ্যযন্ত্র গুলিকে ভাঙচুর করা হচ্ছে ও পুড়িয়ে ফেলা হচ্ছে। বাংলাদেশ সংস্কৃতি, প্রতিভা ও প্রেম সমৃদ্ধ দেশ। এটি খুবই অন্ধকারাছন্ন সময় এবং ক্রমহ্রাসমান হিন্দুদের সংখ্যা এই বর্ধিষ্ণু সমস্যারই স্পষ্ট নিদর্শন। যেসব মিত্ররা আমাদের পক্ষে সরব হয়েছেন এবং আমাদের জন্য যুদ্ধ করেছেন, আমি তাদের ধন্যবাদ জানাতে চাই। আর যারা মানসিক নিপীড়ন করেছেন, উৎস সন্ধান করেছেন, এসব কিছুকে ভুঁয়ো খবর বলেছেন, তাদের বলছি, আপনারাই হচ্ছেন সমস্যার অন্যতম অংশ। যারা নীরব আছেন, তাদের বলছি, তাদের বলছি, আপনারা অন্ধ হয়ে যাচ্ছেন এবং আপনাদের কারণেই এসব কিছু ঘটে চলেছে।

আপনাদের কি বিশ্বের অপর প্রান্তে ভয়ে সিঁটিয়ে বসে থাকতে হয়েছে এবং আপনার শহর জ্বলছে,  আপনার বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে জেনেও আপনার বাড়ির লোকেরা ঠিক আছে কিনা ও তাদের সাথে কথা বলতে না পেরে কি ছটপট করেছেন কখনো? দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পরে ও কি ভয়ে বাস করেছেন? আপনার ঘরে কি এমন প্রবীণ ভয়ে বসে আছেন, যিনি এককালে দেশ স্বাধীন করার জন্য সাহায্য করেছিলেন? যদি তা না হয়, তাহলে আপনি সহানুভূতি প্রদর্শন করুন এবং স্বীকার করুন যে এটি একটি সমস্যা। যদি আমরা এই পরিস্থিতি ও সমস্যাটিকে স্বীকার না করি, তবে আমরা সমাধানের পথে হাঁটতে পারবো না। আমি ভবিষ্যতের জন্য আশাবাদী নই, কারণ যত বছর যাচ্ছে বাংলাদেশ সংখ্যালঘু বিশেষ করে হিন্দুদের জন্য বেশি সহনশীল ও বসবাসের অযোগ্য হয়ে উঠছে।”

আজকের বাংলাদেশের সঙ্গে শিকড়ের টান আছে এরকম আমাদের মত অনেক হিন্দুর মনের কথা ফুটে উঠেছে এই চিঠিতে। আমাদের মধ্যে অনেকে এই দেখে ও শুনে বড় হয়েছি যে কীভাবে আমাদের সম্প্রদায়কে আক্রমণ করা হতো এবং তথাপি আমরা আরো হামলার ভয়ে আমাদের বাড়ির বাইরে এর কথা কাউকে বলতে পারতাম না। ঘটনার সংবেদনশীলতার কারণে সমর্থকটি নিজের নাম গোপন রাখতে চান। যাই হোক আমরা জানতে পেরেছি যে এই সমর্থক ছেলেবেলা থেকে বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর আক্রমণ ও সকলের নীরবতা এবং ক্ষয়ক্ষতি দেখে বড় হয়েছেন, এই আক্রমণকারীরা কে ছিলেন, তা নিয়ে কিছু যায় আসেনি, তারা গ্রামের বিপুল জনতা হতে পারে, চরমপন্থী সংগঠন বা সরকারি বাহিনী ও হতে পারে।

তথ্যসূত্র:

১। https://www.reuters.com/world/asia-pacific/bangladesh-violence-spreads-after-modi-visit-attacks-hindu-temples-train-2021-03-28/

২। https://www.bbc.com/news/world-asia-56586210

৩। https://www.deccanherald.com/national/delhi-tries-to-allay-bangladeshs-concerns-over-nrc-caa-as-dhaka-calls-off-another-high-profile-visit-to-india-809974.html

৪। https://timesofindia.indiatimes.com/world/south-asia/citizenship-law-could-weaken-indias-historic-secular-character-bangladesh/articleshow/72479081.cms

৫। https://www.thedailystar.net/backpage/news/temples-hindu-houses-attacked-several-dists-2069193

৬। https://www.dhakatribune.com/bangladesh/nation/2021/03/23/2-more-held-over-attack-on-hindu-homes-in-sunamganj

৭। https://www.tbsnews.net/bangladesh/politics/brahmanbaria-carries-wounds-hefazat-rampage-224164

৮। https://www.newagebd.net/article/133185/udichi-protests-against-attack-on-hindus-in-sunamganj

 

মূল লেখাটি স্বতন্ত্র পত্রিকায় প্রকাশিত, লেখা Stories of Bengali Hindus Collective’র। অনুবাদ করেছেন অঙ্কুশা।