বঙ্গদেশ ডেস্ক:সুশান্ত সিং রাজপুতের অকালমৃত্যুর রেশ এখনো কাটেনি। এরই মাঝে সোশ্যাল মিডিয়ায় উঠে এসেছে বলিউডের অন্যতম কালো দিক! অভিযোগ উঠেছে বলিউডে চেনাজানা থাকলে কিংবা পরিবারের অন্য কেউ বলিউডের নামকরা অভিনেতা, পরিচালক কিংবা প্রযোজক হলে তবেই সুযোগ পাওয়া যায়।
করণ জোহর, আলিয়া ভাট এমনকী সলমন খানের বিরুদ্ধেও জনগণ ক্ষোভ উগরে দিচ্ছে নেটিজেন। বাদ যাননি সোনম কাপুরও। তবে বাকী সবাই যেখানে মুখে কুলুপ এঁটেছেন, সোনম সেই পরিস্থিতিতেই আজ মন্তব্য করেছেন নিজের স্বপক্ষে।
তার বিরুদ্ধে সমস্ত কু-মন্তব্যের স্ক্রিনশট পোস্ট করে তিনি লেখেন যে নিয়তিই সবচেয়ে বড় সাম্যবাদী। তিনি প্রার্থনা করেন যেন ভগবান এবং গোটাবিশ্ব কু-মন্তব্যকারীদের ক্ষমা করে দেয়। টুইটারে নিজের প্রোফাইলে কমেন্ট সেকশনও বন্ধ করেন তিনি। নিজের মানসিক সুস্থতা বজায় রাখতে তিনি এই কাজ করছেন বলে জানান। আরো লেখেন যে তাঁর বাবা-মা এমন কিছুই করেননি যাতে তাদেরকে এইধরনের ঘৃণামিশ্রিত মন্তব্যের মুখোমুখি হতে হয়।
স্বজনপোষণ প্রসঙ্গে তিনি লেখেন, ‘আজ ফাদার্স ডে তে আমি বলতে চাই যে হ্যাঁ, আমি আমার বাবার মেয়ে। হ্যাঁ আজ আমার এই সাফল্যের কারণ আমার বাবা। হ্যাঁ আমি সমস্ত সুযোগ সুবিধা পেয়ে এসেছি। এটা আমার কাছে অপমান নয়। আমার বাবা কঠোর পরিশ্রম করেছিলেন আমাকে এতকিছু দেওয়ার জন্য। এটা আমার নিয়তি যে আমি এই পরিবারে এইভাবে জন্মেছি। আমার বাবার মেয়ে হয়ে আমি গর্বিত।’
বিশেষজ্ঞদে একাংশের মতে, বলিউড তারকার মেয়ে হয়ে জন্মানোতে আপত্তি নেই কারুরই। কিন্তু শুধুমাত্র পিতৃপরিচয়ের বলেই যদি কেউ অযোগ্য হওয়া সত্ত্বেও দিনের পর দিন সিনেমায় কাজ করার সুযোগ পেতে থাকেন এবং অন্যদিকে তুলনামূলকভাবে প্রতিভাবান, পরিশ্রমী অভিনেতা-অভিনেত্রীদের কপালে শুধুই বঞ্চনা জোটে.. তাহলেই স্বজনপোষণের কুফল দেখা যায়! শিল্পের উন্নতি হয়না। সোনম কাপুর হয়ত এই ভাবার্থই বোঝেননি অথবা বুঝেও না বোঝার ভান করছেন।