কলকাতা পুলিশের জালে ব্লগার অনন্ত বিজয় দাশের খুনি ফয়সাল

বঙ্গদেশ ডেস্ক:বাংলাদেশের সিলেটের ব্লগার খুনে মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত ফয়সাল আহমদকে বেঙ্গালুরু থেকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশের একটি বিশেষ দল।

ফয়সালকে জেরার মুখে জানা গিয়েছে, তার নেতৃত্বে আল-কায়দার অসম মডিউল নিজেদের ঘাঁটি মজবুত করে তুলেছে বরাক উপত্যকায়। ওই হত্যাকাণ্ডের সময়ে ফয়সাল ডাক্তারি পড়তো। সেই সময় থেকেই সে জড়িয়ে পড়েছিল আল-কায়দার ছায়া সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমে (এবিটি)-র সঙ্গে। বিভিন্ন মাদ্রাসায় পড়ানোর আড়ালে জেহাদি মতাদর্শ প্রচার করতো ফয়সাল। বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন এ বিষয়ে অবশ্য দাবি করেছেন, এবিটি এখন বাংলাদেশে অতীত। কিন্তু অসমে এবিটি সক্রিয় হয়ে ওঠায় বেশ চিন্তায় পুলিশ।

২০১৫ সালের ১২ মে সিলেট নগরের সুবিদবাজারে কুপিয়ে খুন করা হয় বিজ্ঞানলেখক ও ব্লগার অনন্ত বিজয় দাশ (৩২)-কে। তিনি পেশায় ব্যাঙ্কার ছিলেন। এছাড়াও, ‘যুক্তি’ নামে একটি পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন। পাশাপাশি বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদকও ছিলেন। গত মার্চে অনন্তের খুনের মামলায় সিলেটের সন্ত্রাস-বিরোধী ট্রাইবুনাল আবুল হোসেন, ফয়সাল আহমদ, মামুনুর রশীদ এবং আবুল খায়ের রশীদ আহমদকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে। আসামী আবুল, ফয়সাল ও মামুনুর পলাতক ছিল।

কলকাতা পুলিশ সূত্রে প্রাপ্ত খবর, জুনের শুরুতে বাংলাদেশের গোয়েন্দা বিভাগ ফয়সালের হদিস পায় ভারতে। তার মোবাইল নম্বর আগে থেকেই কলকাতা পুলিশের কাছে ছিল। সঙ্গে দায়িত্ব নেয় এসটিএফ। মোবাইল লোকেশন ট্র্যাক করে বেঙ্গালুরুতে ফয়সালকে খুঁজে পেয়েছে পুলিশ। ১ জুলাই বোম্মনাহাল্লি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ৩ জুলাই কলকাতায় ফিরিয়ে আনা হয় তাকে।

ফয়সালের পাসপোর্টে কাছাড়-ঘেঁষা মিজোরামের ঠিকানা রয়েছে। ড্রাইভিং লাইসেন্স জোগাড় করা হয় বেঙ্গালুরু থেকে। তার ভোটার কার্ডে ঠিকানা রয়েছে শিলচরের। সেখানে তার নাম রয়েছে শাহিদ মজুমদার। পুলিশ জানিয়েছে, জেহাদি কার্যকলাপের অভিযোগ স্বীকার করেছে ফয়সাল। সে জানিয়েছে, ২০১৫ সালেই সে শিলচরে পালিয়ে আসে। তবে ব্লগার হত্যায় জড়িত থাকার কথা সে স্বীকার করেনি। তার দাবি, তাকে ফাঁসানো হয়েছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, তাকে এ বার বাংলাদেশ পুলিশের হাতে পৌঁছে দেওয়া হবে।