বঙ্গদেশ ডেস্ক: ফের বিতর্কের শিরোনামে নাম তুলেছে পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ।কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ ছড়াতে আল কায়দা প্রধান ওসামা বিন লাদেনের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন ও টাকা নিতেন শরিফ বলে দাবি করেছেন আমেরিকায় নিযুক্ত প্রাক্তন পাক রাষ্ট্রদূত আবিদা হুসেন।
পাক সংবাদমাধ্যম ‘Express Tribune’ সূত্রে প্রাপ্ত খবর, নওয়াজ শরিফের মন্ত্রীসভার সদস্য আবিদা জানিয়েছেন, “লাদেনের থেকে টাকাপয়সা লেনদেন করতেন নওয়াজ শরিফ। তবে বিষয়টি অত্যন্ত জটিল এবং গোপনে হত। ওসামা আর্থিক মদত দিত।”
অন্যদিকে আবার , কয়েকদিন আগেই পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ-এর সদস্য ফারুখ হাবিব অভিযোগ করেছেন, দেশে বিদেশি লগ্নির সিংহ ভাগটাই দিয়েছেন লাদেন। শুধু তাই-ই নয়, লাদেনকে কাজে লাগিয়ে বেনজির ভুট্টো সরকারকে উচ্ছেদ করছেন নওয়াজ শরিক। তৎকালীন মন্ত্রীসভার খোদ সদস্যের এহেন বয়ানে রীতিমতো বিপাকে পড়েছেন বিরোধী নেতা নওয়াজ শরিফ। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, পাক সরকার ও সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলির মধ্যে সুসম্পর্ক কোনও নতুন বিষয়বস্তু নয়। ইমরান খানের প্রশাসনও তার ব্যতিক্রমী নয়।
উল্লেখ্য, বর্তমানে দেশের বাইরে রয়েছেন নওয়াজ শরিফ। তাঁর বিরুদ্ধে রয়েছে দুটি দুর্নীতি মমলা। তাঁকে বারবার সমন পাঠানো হলেও তিনি আদালতে হাজির হননি। তারপরই গত ডিসেম্বর মাসে তাঁকে ‘ঘোষিত অপরাধী’ হিসেবে দেগে দিয়েছে বিচারপতি আমের ফারুক ও বিচারপতি মহসিন আক্তার কয়ানির বেঞ্চ। আদালত সূত্রে প্রাপ্ত খবর, আল-আজিজিয়া ও অ্যাভেনফিল্ড মামলার রায়ের বিরোধিতা করে, শরিফ যে মামলা দায়ের করেছিলেন সেই আবেদনের প্রেক্ষিতেই শুনানির দিন ধার্য হয়েছিল। কিন্তু শরিফ গরহাজির ছিলেন। যার ফলে ভীষণভাবে ক্ষুব্ধ হয়েছে ইসলামাবাদ হাই কোর্টের দুই সদস্যের বেঞ্চ।
বর্তমান ও প্রাক্তন দুই প্রধানমন্ত্রীর বিবাদে সরগরম পাকিস্তানের জাতীয় রাজনীতি। গত আগস্টেই নওয়াজ শরিফকে ‘পলাতক’ ঘোষণা করেছিল পাকিস্তান। চিকিৎসার নাম করে বিদেশ গিয়ে নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরও দেশে না ফেরায় তাকে ‘পলাতক’ ঘোষণা করা হয়েছিল। তাকে দেশে ফেরানোর ব্যবস্থা করার জন্য ব্রিটেনের কাছে আবেদনও করা হয়েছে। ৭০ বছরের নওয়াজ শরিফ দেশের রাজনীতিতে সেনার অঙ্গুলিলেহনের অভিযোগ করেছেন। পাশাপাশি দেশের সেনাবাহিনী ও আইএসআই নেতৃত্ব— সবেতেই পরিবর্তনের ডাক দিয়েছেন তিনি।