প্রভাত ফেরী থেকে সান্ধ্য অনুষ্ঠান, পয়লা বৈশাখে শশাঙ্ক কে স্মরণ করল বাঙ্গালী

0
587

বঙ্গদেশ ডেস্ক:পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে সকাল থেকেই পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্তে বাঙ্গালীরা বর্ষবরণ উৎসবে মেতে উঠেছিল। গতকাল সকালবেলা বর্ষবরণ উপলক্ষে গোল পার্ক রামকৃষ্ণ মিশন থেকে লেক কালীবাড়ি পর্যন্ত কেয়াতলার মধ্যে দিয়ে একটা পল্লী পরিক্রমা করা হয়। সেখানে অংশগ্রহণ করেছিলেন পল্লীর নারী ও শিশু কিশোর কিশোরীরা। এছাড়াও ছিল গান, নাচ, খোল সহকারে কীর্তন ইত্যাদি। অংশগ্রহণকারীদের হাতে ছিল বঙ্গাব্দের প্রবর্তক শশাঙ্কের ছবিসহ প্ল্যাকার্ড, বাঙালির শ্বশ্বত চিহ্ন পুত্তলিকা সম্বলিত পতাকা, মঙ্গল চিহ্ন সহ প্ল্যাকার্ড। পরিক্রমার শেষে ডঃ মোহিত রায় মহারাজা শশাঙ্কের ছবিযুক্ত বাংলা ক্যালেন্ডারের উন্মোচন করেন।প্রভাত ফেরী থেকে শুরু করে সকালের সমগ্র অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের জন্য নামে একটি সংগঠনের সদস্যরা।

সন্ধাবেলায় কলকাতার ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর কালচারাল রিলেশনস (আইসিসিআর)-এর সত্যজিৎ রায় প্রেক্ষাগৃহে বাংলার ‘শশাঙ্ক থেকে বর্তমান’ নামে একটি প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছিল।মূল অনুষ্ঠানে বঙ্গ বীর ও বীরাঙ্গনাদের চিত্র প্রদর্শনী হয়। শশাঙ্ক, ধর্মপাল, দেবপাল, পৃথু, বিক্রমজিৎ, চন্দ্রনাথ, গণেশ, বীর হামবীর, ভবশঙ্করী, চাঁদ রায়-কেদার রায়, প্রতাপাদিত্য ও রাণী শিরোমণি প্রমুখ ব্যক্তি সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য ফুটিয়ে তোলা হয়। অনুষ্ঠান শুরু হয় একটি নাটিকা দিয়ে। উপজীব্য – মহারাজা শশাঙ্কের বঙ্গাব্দের প্রচলন। বিশেষ অনুষ্ঠানে ডঃ মহুয়া মুখোপাধ্যায়কে শশাঙ্ক সম্মান দেওয়া হয়।

ষষ্ঠ শতকের শেষ দশকে গুপ্ত সাম্রাজ্যের আমলে সামন্ত রাজা এবং পরে স্বাধীন সার্বভৌম গৌড়ের শাসক শশাঙ্ক নিজের শাসনকালের সূচনাকে স্মরণীয় রাখতে সূর্যসিদ্ধান্ত ভিত্তিক বর্ষপঞ্জি বঙ্গাব্দের সূচনা করেছিলেন। সেই ঘটনাকে স্মরণ করে বঙ্গীয় সনাতনী সংস্কৃতি পরিষদ নামের একটি সংগঠনের এই প্রথম কলকাতায় একটি প্রদর্শনীর আয়োজন করেছিল। অনুষ্ঠানের উদ্বোধক ছিলেন ড. অনির্বাণ গাঙ্গুলী।