Thursday, May 9, 2024
spot_img
HomeArchivesপুজো মানে ‘একুশ শতকেও ঘোর কুসংস্কার’, সৌজন্যে আনন্দবাজার

পুজো মানে ‘একুশ শতকেও ঘোর কুসংস্কার’, সৌজন্যে আনন্দবাজার

আজ সকালে খবরের অ্যাপে চোখ বোলাতে বোলাতে আনন্দবাজার পত্রিকার বৈদ্যুতিন মাধ্যমের চ্যানেল এবিপি আনন্দের দ্বারা প্রকাশিত একটি বিশেষ ভিডিওতে চোখ আটকে গেল। ভিডিওটির শিরোনাম বেশ নজরকাড়া : “একুশ শতকেও কুসংস্কারের ছোঁয়া, স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করেই হল ‘করোনা পুজো’”। এই ভিডিও চালাতে প্রথমেই দেখা গেল যে এবিপি আনন্দের নিউজরুমে ব’সে থাকা কালো কোট-টাই-পরিহিত জনৈক সংবাদ পরিবেশনকারী (পাঞ্জাবী/কুর্তা/শাড়িপরিহিত নয় কেন?) আবেগতাড়িত গলায় ধারাবিবরণী দিচ্ছেন, যার শুরুটা এইরকম : “একুশ শতকেও কুসংস্কারের ঘোর অন্ধকার!”

ভিডিওতে মূলতঃ দেখানো হচ্ছে কয়েকজন ভদ্রমহিলাকে, আপাতদৃষ্টিতে (এবিপি আনন্দের সংবাদ পরিবেশনকারীর ধারাবিবরণী অনুযায়ী) যাঁরা কলকাতা ময়দানে গান্ধীমূর্তির কাছে করোনা ঠেকাতে পুজোয় বসেছেন। ভিডিওর ধারাবিবরণী থেকে আরও জানা যাচ্ছে যে এই ধরণের করোনা প্রশমনকারী পুজোর আয়োজন নাকি জেলা অঞ্চলের অণ্ডাল এবং আসানসোলেও করা হয়েছে। তবে সে পুজো কবে হয়েছে, ঠিক কারা সে পুজো করেছেন – এ ব্যাপারে ঐ ধারাবিবরণী অথবা গোটা ভিডিওটির অন্য কোনো অংশে কোনোরকম আলোকপাত করা হয়নি।

ধারাবিবরণী থামলে ক্যামেরা তাক করা হয় এবিপি আনন্দের স্থানীয় সংবাদদাতার দিকে। তার পিছনে কিছুটা দূরে দেখা যায় যে জনাকয়েক ভদ্রমহিলা প্রায় গা-ঘেঁষাঘেঁষি ক’রেই এক সারিতে উপবেশন করেছেন, এবং তাঁদের দেখে মনে হচ্ছে যে তাঁরা ঘাসের উপর ফুল বেলপাতা এবং পুজোর অন্য নানান উপকরণ সাজিয়ে রেখে পুজোর উপক্রম করছেন। আরও দেখা যাচ্ছে যে এঁদের কেউ কেউ সংক্রমণ ঠেকানোর জন্য মুখে মাস্ক প’রে রয়েছেন; আর অন্যেরা মাস্ক না প’রেই পুজোর আয়োজন করছেন। তবে সকলেই মাঠের দু-একটি নির্দিষ্ট জায়গায় ব’সে রয়েছেন, এবং মাঠে ঐ পুজোর তোড়জোড় করতে থাকা মহিলারা, এবিপি আনন্দের সংবাদদাতা ও ক্যামেরাম্যান ছাড়া আর প্রায় কেউই উপস্থিত নেই। মাঠে অন্য কোনো জনতার ভিড় অথবা অপর কোনো কাজে রত কোনো ব্যক্তিকেই দেখা যাচ্ছে না, কোথাও কোনোরকম ঘনসন্নিবিষ্ট জমায়েত, বিশৃঙ্খলা, হুড়োহুড়ি, ঠেলাঠেলি – এসব কিছুই নেই। ভদ্রমহিলাদের কেউ কারো সঙ্গে হাত মেলাচ্ছেন না অথবা অন্য কোনোভাবে একে অপরের সরাসরি সংস্পর্শে আসছেন না। এরপর দেখা যায় যে এবিপি আনন্দের সংবাদদাতা এই ভদ্রমহিলাদের একজনের কাছে গিয়ে তিনি ঠিক কী করছেন তা জানতে চাইছেন ও তার উত্তরে উদ্দিষ্ট ভদ্রমহিলা জানাচ্ছেন যে তিনি এবং উপস্থিত অন্যান্যরা ‘করোনা মাতা’র পুজো করছেন; এবং সে পুজোর উদ্দেশ্য হচ্ছে করোনা মহামারীকে বিশ্ব থেকে দূরীভূত ক’রে সুস্থ স্বাভাবিক পরিবেশ সৃষ্টি করা, যাতে আর কেউ করোনাভাইরাসের দ্বারা রোগাক্রান্ত না হয়ে পড়েন।

এই বক্তব্য শোনার পরপরই এবিপি আনন্দের সংবাদদাতা সেটির পুনরাবৃত্তি করেন এবং ভিডিওটির সেখানেই পরিসমাপ্তি ঘটে।

ভিডিওটি দেখে এবং তার শিরোনাম ও ধারাবিবরণী ভালো ক’রে খুঁটিয়ে প’ড়ে আমাদের মনে হয়েছে যে রাজ্য সরকার পশ্চিমবঙ্গে লকডাউন বিধি কার্যত তুলে দেবার পর (অথবা লকডাউন কার্যকর করবার প্রক্রিয়াটি মুখ্যমন্ত্রীর ‘করোনাকে পাশবালিশ ক’রে শুয়ে পড়ুন’ বাণীর পরপরই ঢিলে হয়ে যাবার পর) সবচাইতে সহজ ও দুর্বল নিশানাটি বেছে এবিপি আনন্দ তথা আনন্দবাজার সস্তা নীতিবাগীশ সাজছেন। এহেন নীতিবাগীশ সাজার ফলে তাঁরা বাঙালি পাঠক ও দর্শকদের কাছে নিজেদের ‘সায়েন্টিফিক’ ও স্বাস্থ্যবিধিসচেতন ব’লে প্রতিপন্ন করবার চেষ্টায় রয়েছেন। একে সস্তা বলবার কারণ, যেখানে যেখানে নিশানা দাগা আনন্দবাজারের মতো তাবড় সংবাদমাধ্যম কোম্পানির পক্ষেও বেজায় কঠিন, সেই রাজ্য-সরকারী গাফিলতি, প্রশাসনিক ঢিলেমি, একটি বিশেষ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বিশেষ উৎসব পালনে গত দু-মাস যাবৎ বিভিন্ন সময় রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় লকডাউন শিকেয় তুলে যথেচ্ছাচার, বিভিন্ন সংখ্যালঘু সম্প্রদায় কর্তৃক করোনা থামাতে একাধিক বিশেষ প্রার্থনাসভার আয়োজন, এবং রাজ্য সরকারের মুখ্য পদাধিকারীর ভিত্তিহীন-অবৈজ্ঞানিক-আলটপ্‌কা-দায়িত্বজ্ঞানহীন কথাবার্তা ও কলকাতা-সমেত প্রায় গোটা পশ্চিমবঙ্গে চরম অব্যবস্থা তথা নৈরাজ্যের সৃষ্টি হওয়া নিশ্চয়ই খু-উ-ব দামী নিশানা হয়ে দাঁড়িয়েছে – যে দাম সম্প্রতি চোকাতে হ’ল সিএন চ্যানেলকে, যে দাম নিকট অতীতে চোকাতে হয়েছে ইউটিউবার শ্রী সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায়কে। দেখা যাচ্ছে যে সমসাময়িক বাংলা সংবাদমাধ্যমের সবচাইতে বড় প্রতিষ্ঠানটির সুতীক্ষ্ণ আলোচনা-সমালোচনার তির তথা বৈজ্ঞানিক স্বাস্থ্যসচেতনতার ‘বিশেষ জ্ঞান’ স্রেফ দুর্বল ও সহজ নিশানাগুলির জন্যই সবসময় তোলা থাকে; অথচ কঠিন নিশানা দাগতে এবিপি থরহরি কম্পমান, কিংবা হয়তো এই সংবাদ-বানিয়ে, সংবাদ-বেচে টিঁকে থাকা স্থবির কোম্পানিটির পকেটে এতখানি রেস্ত নেই যা দিয়ে ঐসব বড় বড় রাঘব বোয়াল টার্গেটগুলির সমালোচনা করবার পরে তাদের ম্যানেজ দেওয়া যাবে! বলি, চীনা করোনাভাইরাস থামাতে পুজো না দিয়ে যদি কলকেতা শহরের বুকে দোয়া কিংবা প্রেয়ারের আয়োজন হ’ত (যা আসলে হয়েওছে); তাহলে সেগুলিকে ‘কুসংস্কার’, ‘একুশ শতকে এসবের কোনো স্থান নেই’ ইত্যাদি ব’লে দেগে দেবার মতো বুকের পাটা এবিপি আনন্দ কিংবা আনন্দবাজারের থাকত কি?

কিন্তু এহ বাহ্য, এবং এ ছিল এই বিশেষ ভিডিওটির পরিপ্রেক্ষিতে এবিপির অধুনা-অভ্যাসগত লঘু পাপের পুনরাবৃত্তি। এবার আসা যাক এবিপির গুরু পাপের বৃত্তান্তে।

এই শিরোনামের লক্ষ্য কি? এর দ্বারা কোন্‌ উদ্দেশ্যটি সাধিত হ’ল? ভিডিওতে যা কিছু দেখানো হচ্ছে, সেসব যদি খাঁটি হয়েও থাকে, তাহ’লেও তো বলতে হচ্ছে যে পুজোয় রত ভদ্রমহিলাদের সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখবার মতো স্বাস্থ্যবিধি মানা অবশ্যই উচিত ছিল, কিন্তু পুজো মানেই “কুসংস্কার” – একুশ শতকে পুজোর মতো কুসংস্কারের জায়গা নেই – এই ন্যারেটিভ ছড়ানোর চেষ্টায় এবিপির নিরন্তর প্রচেষ্টা নেহাতই আভিজাত্যসুলভ নাক-উঁচু ভাব, যা ঔপনিবেশিক ইউরোপের খৃষ্টীয় ভাবধারা ও লর্ড মেকওলে-কর্তৃক প্রবর্তিত শিক্ষানীতির উত্তরাধিকার বহন ক’রে চলেছে মাত্র। এই ভাবধারা ও শিক্ষা অনুযায়ী, নেটিভদের পুজোর মাধ্যমে প্রকৃতির কোনো দুর্বোধ্য (স্রেফ সাধারণের পক্ষেই নয়, এমনকী সায়েন্সের কাছেও যা দুর্বোধ্য) শক্তিকে তুষ্ট করবার প্রচেষ্টা অথবা প্রথা নেহাতই কুসংস্কার! কিন্তু এই প্রচেষ্টার মধ্যে যে সামাজিক, মনস্তাত্ত্বিক ও দার্শনিক তত্ত্ব এবং মানবীয় জীবনবোধ রয়েছে – যা একান্তভাবেই অ-আব্রাহামীয় – তা অনুধাবন করবার ক্ষমতা এবিপি হারিয়ে ফেলেছে।

এই পুজো কলকাতা শহরের প্রতিযোগিতা-পুরস্কার-স্পন্সরশিপ-সর্বস্ব থিম পুজোর চাইতে অনেকগুণ বেশী খাঁটি, কারণ এর মধ্যে ভাবের ঘরে চুরি করা নেই, আছে মানবমনের স্বাভাবিক প্রবৃত্তি অনুযায়ী প্রকৃতির অমোঘ ও সর্বগ্রাসী শক্তির কাছে মানুষের শ্রদ্ধার আত্মসমর্পণ; যা একেবারেই অনিবার্য, যা সত্য এবং পরম ধ্রুব।

এই পুজোর গূঢ় তাৎপর্য ইউরোপীয় সায়েন্স-প’ড়ে বন্ধ, রুদ্ধ হয়ে যাওয়া অহংকারী মানবমনের পক্ষে ধরা সম্ভবই নয়; কারণ সে পড়া মানবমনকে একবগ্গা পথে চালিত হবার জন্যে প্রণোদিত-প্ররোচিত করে, প্রকৃতিকে আপন ক্রীড়নক হিসেবে ভাবতে ও ব্যবহার করতে শেখায়, তাকে “আধুনিক প্রযুক্তি”র নামে আপন স্বার্থ ও লোভ-লালসা চরিতার্থ করবার যন্ত্রে পর্যবসিত হ’তেই শুধু শেখায়। বহিঃপ্রকৃতির কিয়দংশ আলবাত মানুষের সায়েন্স ও ইঞ্জিনিয়ারিং-এর পক্ষে আয়াসসাধ্য, কিন্তু ওটুকুই। প্রকৃতির যে অংশটুকু সে তার আয়াসের মধ্যে আনতে সক্ষম হয়েছে, তা যে একেবারেই মানুষের প্রকৃতির উপর মাতব্বরি করবার পক্ষে যথেষ্ট নয় – বরং প্রকৃতির যে অংশটা এখনো সায়েন্স ও মানুষের বুদ্ধিগম্য হ’তেই পারেনি সে অংশটাই যে সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ, কারণ তা মানুষের জীবন তথা ‘স্বাভাবিক’ জীবনের হিসেব রাতারাতি ওলটপালট ক’রে দিতে পারে – সেকথা চীনা করোনাভাইরাস আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে। লেবানীজ-আমেরিকান দার্শনিক নাসিম নিকোলাস তালেব তাঁর ব্ল্যাক সোয়ান  বইতে অভাবনীয়-অদেখা-অভূতপূর্ব ঘটনাবলীর যে অমোঘ শক্তির কথা বলেছেন, সাম্প্রতিক দুর্বিপাকটি তা আরও একবার প্রমাণ করল। এমনকী যে সায়েন্টিফিক চিন্তার কাঠামোর মধ্যে (আপাতদৃষ্টিতে) দাঁড়িয়ে এবিপি এইধরণের উক্তি করে, সেই সায়েন্সও তো চীনা করোনাভাইরাসকে ঠেকাতে – অন্ততঃ এখনও অব্দি – ব্যর্থ। সেই ব্যর্থতার পরিপ্রেক্ষিতে মানবমন যদি সায়েন্টিফিক ভাবনাচিন্তার কাঠামোর গণ্ডী ছাড়িয়ে, তার বাইরে গিয়ে – অথচ অন্যের ক্ষতি না ক’রে – ভাবতে কিংবা কাজ করতে চেষ্টা করে, তাহলে তাকে খুব দোষ দেওয়া যায় কি? নাকি মানবমন এবং মানবপ্রবৃত্তিকে সায়েন্টিফিক ভাবনাচিন্তার সীমাবদ্ধতার গণ্ডীর মধ্যেই কেবল ঘোরাফেরা করতে হবে – এমন মাথার দিব্যি মার্ক্সদাদুকে দেওয়া আছে?

মানবমনের স্বাভাবিক ধর্ম হ’ল নিজের ভাবটিকে সতত প্রকাশ করা। এই প্রকাশমুখী বৃত্তি মানুষকে দিয়েছে তার মুখের ভাষা, তার লিপি, তার চিত্রশিল্প, সঙ্গীত, নৃত্য, নাট্য, পুজো-আচ্চা – এককথায় তার সংস্কৃতি। এই মানবীয় সংস্কৃতির বাহ্যিক রূপটি নানা দেশে নানা রকম হয়ে থাকে, কিন্তু উৎপত্তিগতভাবে মূলে সেটি এক – কারণ তার পিছনে রয়েছে মানবমনের নিজেকে প্রকাশ করবার স্বাভাবিক এবং অপরিহার্য আকাঙ্ক্ষা। সে আকাঙ্ক্ষা তাকে চরিতার্থ করতেই হবে, যুগে যুগে সে তাই ক’রে এসেছে। এতে টীকাটিপ্পনী ক’রে, নিরন্তর নানা কায়দায় নিরুৎসাহিত ক’রে, সায়েন্স কিংবা ডায়ালেক্টিকাল মেটিরিয়ালিজমের দোহাই পেড়ে, হেগেল-মার্ক্স কপচিয়ে বাধা দেবার হাজার চেষ্টা করলেও লাভ কিস্যু হবে না – মানুষের আত্মা তার জিজ্ঞাসা ও শ্রদ্ধা এই দুই প্রবৃত্তিকেই কোনো না কোনো ভাবে বিচিত্র পথে প্রকাশের রাস্তা ঠিকই খুঁজে নেবে। শুধু সতর্ক ক’রে দেওয়া দরকার – সে রাস্তা যেন ধ্বংসাত্মক আকার না নেয়। তাই যা শিব – অর্থাৎ মঙ্গল, যা সুন্দর, যা অনাড়ম্বর, সহজ-সরল অথচ সত্য – ভারতবর্ষের শ্রদ্ধার সেই চিরন্তন অভিব্যক্তিটিকে প্রকাশ করতে দেওয়াই ভালো। আমাদের আর্য পূর্বপুরুষগণ এই কথাটি তাঁদের অভিজ্ঞতা, তীক্ষ্ণ মনন ও জীবনবোধ দিয়ে অক্ষরে অক্ষরে বুঝেছিলেন। তাই তো তাঁরা উপজাতি জনজাতি এমনকী নিজেদের জাতির মধ্যেও এমন সহজ শ্রদ্ধার অভিব্যক্তির সমালোচনা করেননি, তাকে রদ করবার বৃথা প্রয়াস করেননি, বরং সেগুলিকে আপন ক’রে নিয়েছেন। কারণ তাঁরা জানতেন, যে তা করতে না দিলে সতত সঞ্চরমান মানবমনের নদীটির গতি অবরুদ্ধ হয়ে হয় মজে যাবে, নয়তো দুকূল ছাপিয়ে সর্বগ্রাসী ধ্বংসাত্মক বন্যা ডেকে আনবে।

বঙ্গদেশ বারবার চেষ্টা করছে মেইনস্ট্রিম মিডিয়াতে না আসা খবরগুলো আপনাদের সামনে আনার। আমরা আপনাদের খবর করি, আপনাদের কথা লিখি। আমাদের এই প্রচেষ্টা ভালো লেগে থাকলে ১০ থেকে ১০,০০০ যে কোন মূল্যের ডোনেশন দিয়ে বঙ্গদেশের পাশে দাঁড়াতে পারেন। আমাদের আরও ভালো কাজ করার জন্য উৎসাহ দিতে পারেন। ধন্যবাদ।

শ্রীজিৎ দত্ত
শ্রীজিৎ দত্ত
শ্রীজিৎ দত্ত ভারতীয় অলঙ্কারশাস্ত্র বিষয়ে গবেষণারত। পড়াশোনা কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ এবং যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। কিছুদিন কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিশ্বভারতীতেও পড়াশোনা করেছেন। ইন্ডিয়াফ্যাক্টস, প্রাজ্ঞতা, স্বরাজ্য, মাইইন্ডমেকার্স, টপইয়াপ্স ইত্যাদি পত্রিকায় নিয়মিত ভারততত্ত্ব বিষয়ে লেখালেখি করেন। পেশা অধ্যাপনা, ধ্যানজ্ঞান সঙ্গীত। যোগাযোগ – sreejit.datta@gmail.com

Most Popular